করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দেশে যে ভাবে বাড়ছে, তাতে বিভিন্ন রাজ্য সরকার ও বিশেষজ্ঞরা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেছে।
একাধিক রাজ্য কেন্দ্রের কাছে আবেদন করেছে এই লকডাউনের মেয়াদ আরও বাড়ানোর জন্য। একই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে মোদি মন্ত্রিসভার বেশ কিছু মন্ত্রীর তরফে।
কেন্দ্রের ঘোষিত একুশ দিনের লকডাউনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ১৪ এপ্রিল। এরপরেও প্রয়োজনে লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির বিষয়ে চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে।
করোনার মৃত এবং আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণের জবাবেই রাজ্যে লকডাউন ভাঙা নিয়ে মঙ্গলবার ফের কেন্দ্রীয় সরকারকে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী।
করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় দেশজুড়ে ২১ দিনের লকডাউন শেষ হচ্ছে ১৪ এপ্রিল। সেই মেয়াদ আরও বাড়িয়ে ৩ জুন পর্যন্ত জারি রাখার আবেদন করেছেন কে চন্দ্রশেখর রাও।
নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে কলকাতা পুলিশের রক্তদান শিবিরের পর হাওড়াতেও জেলা পুলিশের একই অনুষ্ঠান ঘুরে দেখলেন মমতা।
কেন্দ্রীয়মন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকর জানান, দেশে একজনের দেহেও করোনাভাইরাস পাওয়া গেলে লকডাউনের মেয়াদ শেষ করা খুবই ঝুঁকির কাজ হবে।
করোনা মোকাবিলায় রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিসভার সদস্য ও সাংসদদের ৩০ শতাংশ কম বেতন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ক্যাবিনেট বৈঠকে।
করোনায় আর্থিক ক্ষতি সামাল দিতে এবং মহামারী পরিস্থিতিতে রাজ্যকে দিশা দেখাতে রাজ্যের তরফে গড়া হবে গ্লোবাল অ্যাডভাইসরি বোর্ড ফর কোভিড রেসপন্স পলিসি এই ওয়েস্ট বেঙ্গল।
অবশেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশে করোনা মোকাবিলায় বিরোধী নেতা ও প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিদের সঙ্গে ফোনে পরামর্শ করলেন।