বস্তুত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বারবারই বলেছে, লকডাউন স্থায়ী সমাধান নয়। তা সময় কেনার উপায় মাত্র।
গত একমাস ধরে পাইকারি বাজারে ৬০ শতাংশ যোগান কমছিল। ফলে দাম ঊর্ধ্বমুখী এমনিতেই ছিল। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে করোনার জেরে বিভিন্ন রাজ্যে মার্চের মধ্যভাগ থেকেই জারি হওয়া লকডাউন।
রাজ্যের নয় থেকে দশটি করোনা হটস্পট এবং তৎসংলগ্ন অঞ্চলকে চিহ্নিত করে সেখানে সম্পূর্ণ লকডাউন তথা সিল করে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে রাজ্য সরকার।
বহু রাজ্য প্রধানমন্ত্রীর লকডাউন ঘোষণার মেয়াদ বৃদ্ধির অনুরোধ জানিয়েছে। কারণ করোনা সংক্রমণ বাড়লে তা মোকাবিলার কোনও পরিকাঠামো অধিকাংশ রাজ্যেই নেই।
বৃহস্পতিবার নবান্নে শিল্পসংস্থা এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা বাড়ছে, লকডাউন ভাঙা যাবে না। উপায় নেই, তাই বাধ্য হয়ে মানতে হচ্ছে।
করোনা মোকাবিলায় জাতীয়স্তরে এবং রাজ্যস্তরে স্বাস্থ্যপরিকাঠামো গঠনের জন্য পঞ্চবার্ষিক প্রকল্পে পনেরো হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে।
করোনা মোকাবিলায় ১৪ এপ্রিল দেশে ২১ দিনের লকডাউনের পর মেয়াদ বাড়ানোর চিন্তাভাবনা চলছে বলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন।
করোনা সংক্রমণের খোঁজে রাজ্য সরকার চালু করতে চাইছে নতুন অ্যাপ 'সন্ধানে'। রাজ্যে করোনার হটস্পট কোথায় রয়েছে তা খুঁজে বের করতে সাহায্য করবে এই অ্যাপ।
১৪ এপ্রিল ২১ দিনের লকডাউনের মেয়াদ শেষ হলেও তা সম্পূর্ণ প্রত্যাহার না করার পক্ষপাতি বলে মত প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
করোনা আতঙ্কে বিশ্ব জুড়ে বিভিন্ন দেশে চলছে লকডাউন। প্রাথমিকভাবে প্রতিটি দেশের সরকারই লকডাউনের জন্য সময় নির্ধারণ করে দিয়েছে।