দেশে চব্বিশ ঘন্টায় করোনায় ১৭ জনের মৃত্যু এবং ৫৪৯ আক্রান্ত

করোনা মোকাবিলায় ১৪ এপ্রিল দেশে ২১ দিনের লকডাউনের পর মেয়াদ বাড়ানোর চিন্তাভাবনা চলছে বলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন।

Written by SNS New Delhi | April 10, 2020 8:09 pm

প্রতীকী ছবি (File Photo: AFP)

ভারতে গত চব্বিশ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে ৫৪৯ সংক্রামিত এবং ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যদফতর সূত্রে জানানো হয়েছে। লকডাউন জারির ১৬ দিন পর দেশে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা ছয় হাজার অতিক্রম করেছে এবং মৃতের সংখ্যা ১৬৬। দেশে এপর্যন্ত প্রায় দেড় লাখ মানুষের পরীক্ষা করা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সংক্রমণের সংখ্যা পনেরো লাখ ছাড়িয়ে গিয়েছে এবং মৃত্যুর সংখ্যা নব্বই হাজার ছাড়িয়েছে।

করোনা মোকাবিলায় ১৪ এপ্রিল দেশে ২১ দিনের লকডাউনের পর মেয়াদ বাড়ানোর চিন্তাভাবনা চলছে বলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন। ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক ইতিমধ্যেই ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করে দিয়েছেন। এছাড়া রাজ্যে ১৭ জুন পর্যন্ত বিদ্যালয় বন্ধ রাখারও নির্দেশ দিয়েছেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গত দুই দিনে প্রায় চার হাজার মানুষ করোনাভাইরাসে সংক্রামিত হয়েছেন বলে হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে জানানো হয়েছে। আমেরিকায় এপর্যন্ত ৪,৩১,৮৩৮, স্পেন- ১,৪৮,৪২২, ফ্রান্স- ১,১৩,৯৮২, জার্মানি- ১,১৩,২৯৬, ইতালি -১,৩৯,৪২২, চিনে- ৮২,৮০৯ মানুষ করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। ইতালিতে- ১৭,৬৬৯, স্পেনে- ১৪,৭৯২, ফ্রান্সে- ১০,৮৬৯ এবং ইংল্যান্ডে- ৭,০৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনায়।

ওড়িশায় লকডাউনের মেয়াদ ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক জানিয়েছেন, এদিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে বর্তমান পরিস্থিতিতে মানুষের প্রাণ রক্ষার জন্য লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়েছে। তিনি জানান, রাজ্যে সংক্রমণের সংখ্যা ৪২ এবং মৃত ২।

প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা মতে ২১ দিনের লকডাউনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ১৪ এপ্রিল। কিন্তু রাজ্যবাসীর নিরাপত্তার কারণে লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি করে ৩০ এপ্রিল করা হয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রী জানান। এছাড়া রাজ্যে ১৭ জুন পর্যন্ত বিদ্যালয়গুলি বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। ওড়িশার পক্ষে জাতীয় লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির সুপারিশ করা হয়েছে।

তিনি জানান, এর ফলে মানুষের আর্থিক দুর্দশা বাড়বে কিন্তু জীবন বাঁচাতে গেলে ঘরে বসে থাকতেই হবে। তাই আর্থিক ক্ষতি স্বীকার করতেই হবে। তিনি জানান, সংক্রমণের সন্দেহ হলেই তাকে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এক লাখ পরীক্ষা করার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে রোগের প্রকোপ নিয়ন্ত্রণের জন্য। এব্যাপারে কোনও আপস করা হবে না বলে তিনি জানান।