পর্যায়ক্রমে লকডাউন প্রত্যাহারের সুপারিশ রাজ্যগুলির

কেন্দ্রের ঘোষিত একুশ দিনের লকডাউনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ১৪ এপ্রিল। এরপরেও প্রয়োজনে লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির বিষয়ে চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে।

Written by SNS New Delhi | April 8, 2020 5:38 pm

দেশজুড়ে লকডাউন (Photo: AFP)

ভারতে এপর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে চার হাজারে পৌছেছে। মৃতের সংখ্যা ১১৪। এমন অবস্থায় রাজ্যগুলির সুপারিশ অনুযায়ী লকডাউন ব্যবস্থা দীর্ঘতর করার কথা বিবেচনা করছে কেন্দ্র। কারণ ইতিমধ্যেই তেলেঙ্গার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির অনুরোধ জানিয়েছে। ফলে কেন্দ্রের ঘোষিত একুশ দিনের লকডাউনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ১৪ এপ্রিল। এরপরেও প্রয়োজনে লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির বিষয়ে চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের উচচপদস্থ আধিকারিকরা জানিয়েছেন।

ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী শাসকদলের এক অনুষ্ঠানে কর্মীদের করোনা মোকাবিলায় দীর্ঘ লড়াইয়ে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তবে মন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ক্যাবিনেট বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং বজায় রাখার ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের অসুবিধাকে কিভাবে ন্যূনতম করা যায় তার উপায় বের করার পরামর্শ দিয়েছেন। লকডাউন ব্যবস্থা ক্রমান্বয়ে প্রত্যাহারের উপায়গুলি খতিয়ে দেখতে বলেছেন। এমনকী সচিবপর্যায়ের আধিকারিকদের ব্যাপারে অবস্থা পর্যালোচনা সাপেক্ষে মতামত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও জানিয়েছেন, আগে তো মানুষের প্রাণ বাঁচুক, পরে আর্থিক অবস্থা মোকাবিলা করা যাবে। অন্যদিকে অসম সরকার অবস্থা মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ করার কথা জানিয়েছে। তাই লকডাউন পর্যায়ক্রমে প্রত্যাহার করা উচিত বলে মন্তব্য করা হয়েছে।

অসমের অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানিয়েছেন, আমরা আলোচনার মাধ্যমে স্থির করেছি, লকডাউন প্রত্যাহর বৈজ্ঞানিক ও পদ্ধতি মেনে করা হোক, যাতে লকডাউনের সময় পাওয়া সুফল বিফলে না যায়। তাই এটা করা উচিত হবে না যে ১৫ এপ্রিল সব স্বাভাবিক হয়ে যায়।

কর্নাটক ও উত্তরপ্রদেশের সরকারও একই মনোভাব ব্যক্ত করেছে। কর্নাটক সরকারের পক্ষে সংক্রামিত এলাকায় আরও দুই সপ্তাহ লকডাউন জারি রাখার সুপারিশ করা হয়েছে। করোনা সংক্রমণ মুক্ত হওয়ার পরই লকডাউন প্রত্যাহার করা উচিত বলে উত্তরপ্রদেশের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব অশ্বিন অবস্তি জানিয়েছেন। কারণ একজনের দেহেও করোনাভাইরাস পাওয়া গেলে লকডাউন তুলে নিতে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে বাধ্য।

রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট পর্যায়ক্রমে লকডাউন প্রত্যাহারের কথা জানিয়েছেন। কারণ এই মুহুর্তে লকডাউন প্রত্যাহার করা উচিত নয় বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।