সরকার গঠনের জন্যে দাবি জানাবে শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোট। দিল্লিতে অনেকগুলি বৈঠকের পর একমত হয়েছে ওই তিনদল।
বুধবার বৈঠক ছিল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এনসিপির শীর্ষ নেতা শরদ পাওয়ারের। এই বৈঠকের অব্যবহিত পরেই সােনিয়া গান্ধি আর দেরি করেননি।
মহারাষ্ট্রের অচলাবস্থার মধ্যেই এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদির দ্বারস্থ হলেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হয়েছে তাঁর।
দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে শিবসেনা বিজেপির জোটসঙ্গী। মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন নিয়ে তাদের মধ্যে মতভেদ হয়। শিবসেনার দাবি ছিল ৫০-৫০ ফর্মুলায় সরকার গড়তে হবে।
শিবসেনার অরবিন্দ সাওয়ান্ত মােদির মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের পর মহারাষ্ট্রে নতুন সমীকরণ নিয়ে জল্পনা মাথাচাড়া দেয়।
শিবসেনা এনডিএ জোট থেকে সরে দাড়িয়েছে। পাশাপাশি এনডিএ বৈঠকে শিবসেনা দলের প্রতিনিধিরা গরহাজির ছিলেন।
শরদ পাওয়ার বিজেপির সঙ্গে তাঁর দলের কোনওরকম আঁতাতের সম্ভাবনা খারিজ করে দিয়েছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, সােনিয়া গান্ধির সঙ্গে এই নিয়ে আমার আরও আলােচনা হবে।
পােড় খাওয়া রাজনৈতিক মস্তিষ্কের ধার ফের প্রমাণ করে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে রীতিমতাে ঝড় তুলে এনসিপি দলের প্রশংসায় মুখর হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি।
পুরােনাে জোট শরিক শিবসেনার গরহাজির থাকাটা কতটা বেদনাদায়ক তা মুখে ব্যক্ত না করলেও পরােক্ষে তার আভাস দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি।
শিবসেনা কংগ্রেস ও এনসিপি'র সঙ্গে জোট করে মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের লক্ষ্যে সওয়ার হয়েছে।