প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি সোমবার বলেন, সংস্কার প্রয়োজন দেশের উন্নয়নে। এটা খুব জরুরি। বছরের পর বছর ধরে চলে আসা বেশ কিছু আইন বর্তমান পরিস্থিতিতে বােঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কৃষি আইন নিয়ে কোনও সমাধানে আসতে পারল না কেন্দ্রীয় সাকার। তাই ৯ ডিসেম্বর বুধবার কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আরও একদফা বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা।
কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে উত্তাল দেশ। কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে দেখা যাচ্ছে একাধিক বিরােধী দলকে।
একটানা কৃষক বিক্ষোভের জেরে দিল্লিবাসীকে পণবন্দি বলে উল্লেখ করে সুরাহার খোঁজে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে চিঠি লিখলেন বিজেপি নেতা কপিল মিশ্রা।
কেন্দ্রীয় সরকার যতক্ষণ না পর্যন্ত এই কালা আইন প্রত্যাহার করছে, ততক্ষণ আপনারা আন্দোলন চালিয়ে যান। প্রয়ােজনে আমরাও আপনাদের সমর্থনে লােক পাঠাব।
কৃষকবিরােধী আইন প্রত্যাহার না করলে দেশব্যাপী আন্দোলন করব। বৃহস্পতিবার ফেসবুক পােস্টে এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমাে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কৃষকদের সঙ্গে দ্বিতীয় দফার বৈঠকেও কোনও রফাসূত্র মিলল না। ৫ ডিসেম্বর কৃষক সংগঠনগুলিকে আরও এক দফার বৈঠক ডাকল কেন্দ্রীয় সরকার।
আজ বৃহস্পতিবারের বৈঠকই মােদি সরকারের কাছে শেষ সুযােগ জানিয়ে দিল প্রতিবাদী কৃষক সংগঠন। সােমবার কেন্দ্রের সঙ্গে কৃষকদের প্রথম বৈঠক ব্যর্থই হয়েছিল।
কনকনে শীত, পুলিশের লাঠি, জল কামান উপেক্ষা করে পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থানের কয়েক হাজার কৃষক চারদিক থেকে রাজধানী দিল্লিকে ঘিরে ফেলেছেন।
কৃষক বিদ্রোহ নিয়ে যখন চাপ বাড়ছে বিজেপি সরকারের ওপর, ঠিক তখনই কৃষি ইস্যুতে মােদি সরকারকে তােপ দাগলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।