কৃষক-বিক্ষোভের জেরে দিল্লির পণবন্দি অবস্থা

একটানা কৃষক বিক্ষোভের জেরে দিল্লিবাসীকে পণবন্দি বলে উল্লেখ করে সুরাহার খোঁজে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে চিঠি লিখলেন বিজেপি নেতা কপিল মিশ্রা।

Written by SNS New Delhi | December 6, 2020 12:12 pm

কপিল মিশ্রা (File Photo: IANS)

একটানা কৃষক বিক্ষোভের জেরে দিল্লিবাসীকে পণবন্দি বলে উল্লেখ করে সুরাহার খোঁজে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে চিঠি লিখলেন বিজেপি নেতা কপিল মিশ্রা। চিঠিতে দিল্লির এই নেতা লেখেন- দিল্লির বিভিন্ন সীমানায় কৃষকদের বিক্ষোভের করণে দিল্লিবাসীর নাভিশ্বাস উঠেছে। এই অবস্থাকে তিনি পণবন্দির সঙ্গে তুলনা করেন। 

কপিল মিশ্রার অভিযােগ, কৃষক আন্দোলনের নামে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের লাগাতার আন্দোলনের চাপে দিল্লি পণবন্দি হয়ে পড়েছে। দুধ, শাকসজি, ওষুধপত্র ও অক্সিজেন সিলিন্ডারের মতাে জরুরি জিনিসপত্র জোগান ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ দাবি করেন তিনি। 

চিঠিতে মিশ্রা লিখেছেন পরিস্থিতি এই প্রথমবার নয়। শাহিনবাগ আন্দোলনের নামে বছরের গােড়াতেই রাজধানাকে পণবন্দি করে হিংসা ও ঘৃণার পরিবেশ তৈরি করা হয়েছিল। দিল্লির এই বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে দিল্লি দাঙ্গায় প্ররােচনা দেওয়ার অভিযােগ উঠেছিল। বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের অভিযােগ ছিল জাফরাবাদে তাঁর প্ররােচনামূলক ভাষণের জন্যই উত্তরপূর্ব দিল্লিতে দাঙ্গা লেগেছিল।

কৃষক বিক্ষোভের কথা উল্লেখ করে কপিল মিশ্রা তাঁর চিঠিতে লেখেন– দিল্লিবাসী তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। লােকজন যে অফিসে যাবেন, দোকান খুলবেন, চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যাবেন– এই সাধারণ স্বাধীনতাগুলিও তাদের নেই। তাদের থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে। তাঁর কথায় দিল্লির লােকজনকে ঘনঘন পণবন্দি করা হচ্ছে। যার ফলে দিল্লিবাসীর মনে বড় ধরনের প্রভাব পড়ছে।

রাষ্ট্রপতিকে লেখা কপিলের চিঠির বয়ান অনুযায়ী, কোটি কোটি লােকের জীবন নিয়ে এভাবে রাজনৈতি ভােজবাজি বন্ধ করতে হবে। রাষ্ট্রপতির কছে বিজেপি নেতার আর্জি আপনি এর নিষ্পত্তি করুন। কৃষক আন্দোলেনর জেরে দিল্লির সঙ্গে হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশের সীমানাগুলি বন্ধ। পাঞ্জাব, হরিয়ানা ও উত্তর প্রদেশের কয়েক লক্ষ কৃষক বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন। 

শনিবার এই বিক্ষোভ দশম দিনে পড়েছে। কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে কৃষক নেতাদের দু’দফা বৈঠকেও কোনও সমাধান সূত্র বের হয়নি। কৃষক সংগঠনগুলির অভিযােগ- কৃষক নেতাদের মধ্যে বিভাজন করে আন্দোলন ভণ্ডুল করার চেষ্টা চলছে। কিন্তু কৃষকরা সেই ফাঁদে পা দেবেন না। কেন্দ্রের নয়া তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে অনড় কৃষকরা।