কৃষকের আয়বৃদ্ধিতে শীর্ষে বাংলা, স্বীকৃতি কেন্দ্রের

ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ এগ্রিকালচার তাদের রিপোর্টে জানাল, পশ্চিমবঙ্গে ক্ষুদ্র কৃষক আয় ২০১৬ ১৭’র তুলনায় ২০২০-২১ সালে ২০০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।

Written by SNS Kolkata | July 18, 2022 9:59 am

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গত ১১ বছরে বাংলার কৃষকদের আয় দ্বিগুণের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।

এবার কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন সংস্থা ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ এগ্রিকালচার তাদের রিপোর্টে জানাল, পশ্চিমবঙ্গে ক্ষুদ্র কৃষক আয় ২০১৬ ১৭’র তুলনায় ২০২০-২১ সালে ২০০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।

বড় কৃষকদের ক্ষেত্রে, অর্থাৎ যাদের জমির পরিমাণ ১০ হেক্টরের বেশি তাদের আয় এই সময়কালে বাংলায় ৩৭৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

এক্ষেত্রে পুদুচেরির সঙ্গে যুগ্মভাবে দেশের শীর্ষে রয়েছে বাংলা। শনিবার আইসিএআর তাদের রিপোর্টটি প্রকাশ করেছে।

কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর রিপোর্টটি প্রকাশ করেন। এরপর কেন্দ্রীয় সরকারের তরফেই রিপোর্টের অংশবিশেষ তুলে ধরে বাংলার সাফল্যে কথা টুইট করে জানানো হয়।

আইসিএআরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেশের মোট ৭৫ হাজার কৃষকের উপর সমীক্ষা চালিয়ে আয় বৃদ্ধির বিষয়টি জানা গিয়েছে।

আইসিএআরের রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাংলায় কৃষকদের আয় শুধুমাত্র চিরাচরিত ধান চাষের মধ্যে দিয়েই বৃদ্ধি পায়নি। কৃষকদের আয় বৃদ্ধির ক্ষেত্রে হর্টিকালচার ও পশুপালনের একটি বড় ভূমিকা রয়েছে।

রিপোর্টে লেখা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া উত্তরাখণ্ড, ছত্তিশগড় ও পুদুচেরিতে কৃষকদের সামগ্রিক আয় গত পাঁচ বছরে ২০০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।

অন্যান্য রাজ্যে সেখানে বৃদ্ধির পরিমাণ ১৫০ থেকে ২০০ শতাংশ। ফলত এটা স্পষ্ট বিজেপিশাসিত বড় রাজ্যগুলির তুলনায় পশ্চিমবঙ্গে কৃষির বিকাশ অনেক বেশি।

রিপোর্টে লেখা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের গ্রামাঞ্চলে কৃষি ও অকৃষি ক্ষেত্রে আয় এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে তা কৃষকের মোট আয় বৃদ্ধির সঙ্গে অতিরিক্ত আয়েরও বৃদ্ধি ঘটিয়েছে।

তৃণমূলের তরফে টুইট করে বলা হয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কৃষকবন্ধু প্রকল্পে’ ৮৯ লক্ষ কৃষককে বছরে দু’বার আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়।

পরিবহন মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বলেছেন, দেশের অন্যত্র কৃষকদের বঞ্চনা করা হলেও বাংলায় রাজ্য সরকার সবসময় কৃষকদের পাশে থেকেছে। কোভিডের সময়েও রাজ্যে কৃষক পরিবারগুলির মাথাপিছু আয় বেড়েছে।