শুত্রবার লাদাখ সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি সেনাবাহিনীর সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি গালওয়ান উপত্যকায় চিন সীমান্তে সঙঘর্ষে জখম সেনাদের সঙ্গে দেখা করেন।
সেনাবাহিনী সূত্রে বলা হচ্ছে সীমান্তে উত্তেজনা যদি সত্যিই কমে তাহলে তা ধাপে ধাপে কমবে। সমঝোতা অনুযায়ী চিন সত্যিই কোনও পদক্ষেপ করছে কিনা তা দেখা হবে।
ভারত-চিনের সেনা পর্যায়ের বৈঠকে দ্বন্দ্বের জায়গাগুলি থেকে বেরিয়ে আসার ঐকমত্যে পৌঁছেছে বলে সেনা সুত্রে জানানো হয়েছে।
গালওয়ানে রবিবার রাত পর্যন্ত সেনা তৎপরতার যা গতি প্রকৃতি, তাতেও অনেকে অভিযানের ইঙ্গিত দেখছে।
লাদাখ এলাকা নিয়ে ভারত ও চিনের সেনার মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। সপ্তাহখানেক আগে প্রথমবার বৈঠক করেন দুই দেশের সেনার উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।
মে মাসের গোড়া থেকেই লাদাখে সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ভারত ও চিনা সেনার মধ্যে। ভারতীয় ভূখণ্ডে চিনা সেনা বেশ কয়েকবার অনুপ্রবেশ করে।
চিনে সেনা পূর্ব লাদাখের লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কনট্রোল বরাবর ধীরে ধীরে বাড়াচ্ছে তাদের অস্ত্র ভান্ডার। পিছিয়ে নেই ভারতীয় সেনা বাহিনী।
সিকিম ও লাদাখে পরপর সেনা সংঘাতের পর সীমান্তের কাছে চপার উড়িয়েছে চিন। এই অবস্থায় লাদাখে জারি হল অ্যালার্ট।
উত্তর সিকিমের নাকুলার কাছে ইন্দো-চিন সীমান্তে সংঘর্ষে জড়াল দু'দেশের সেনাবাহিনী। শনিবার রাতে দু’দেশের প্রায় দেড়শ সেনার মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়।
শনিবার দুপুর থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই চলেছে কাশ্মীরের হান্দেওয়ারায়। এনকাউন্টারে প্রাণ গিয়েছে রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের কর্নেল-সহ পাঁচ জওয়ানের।