ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার রাতে মারা গেলেন উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ২ মহিলা।
মারণ ভাইরাস করােনা আবহে সবথেকে বড় আতঙ্ক ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। এই রােগকে ইতিমধ্যেই মহামারী হিসাবে ঘােষণা করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
পশ্চিম বর্ধমান জেলার জেলা হাসপাতালে বৃহস্পতিবার প্রথম ব্ল্যাক ফাঙ্গাস আক্রান্ত রোগী ভর্তি করা হলাে।
একে করােনায় রক্ষা নেই তার সঙ্গে দোসর হয়েছে ছত্রাক। একদিকে কোভিড অন্যদিকে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। এই দুই সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে ভারত।
ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়ে রাজ্যে ইতিমধ্যে ২ রােগীর মৃত্যু হয়েছে। কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তারা চিকিৎসাধীন ছিলেন।
কিছুটা স্বস্তিতে রয়েছে দিল্লিবাসী। গত এপ্রিলের পর থেকে দিল্লিতে করােনা সংক্রমণের হার নামলে ৩.৫৮ শতাংশে।
ইতিমধ্যেই রাজ্যে দেখা মিলেছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের। কলকাতার শম্ভুনাথ হাসপাতালে প্রাণও হারিয়েছেন। আর এবার এই সংক্রমণ ঠেকাতে কড়া পদক্ষেপ করছে রাজ্য সরকার।
চলতি সপ্তাহে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষে সমস্ত রাজ্য সরকার ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে চিঠি দিয়ে এই রােগকে মহামারী আওতায় অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশিকা পাঠানাে হয়েছে।
কোভিড থেকে সুস্থ হওয়া মানুষজনের শরীরে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলে সতর্ক করেন এইমসের প্রধান চিকিৎসক রণদীপ গুলেরিয়া।
শেষ রক্ষা হল না। কারণ এবার রাজ্যে থাবা বসাল ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। দুই প্রতিবেশী রাজ্য থেকে বাংলায় প্রবেশ করল এই ভয়ঙ্কর ছত্রাক।