করােনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে কাবু সারা দেশ তথা বাংলা। আর এই সময় রাজ্য সরকার চাইছে টিকাণের উপর জোর দিতে। এই পরিস্থিতিতে বুধবার রাজ্যে আসছে কোভিশিল্ড টিকা।
প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে ৫ লক্ষ কোভিড টিকার বরাত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে।সেইমতাে রবিবার রাজ্যে এল ২ লক্ষ কোভ্যাক্সিন।
দেশে হু হু করে বাড়ছে করােনা আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় করেনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৮৪ হাজার ৩৭২ জন। যা এ পর্যন্ত সর্বাধিক।
কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন নেওয়ার ক্ষেত্রে নতুন নির্দেশ জারি করল কেন্দ্র। প্রথম ডােজ নেওয়ার পর ২৮ দিনের পরিবর্তে ছয় থেকে আট সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডােজটি নিতে হবে।
আগামী ১৩ জানুয়ারি থেকে দেশে করােনা টিকাকরণ অভিযান শুরু হচ্ছে। মঙ্গলবার, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন।
হায়দ্রাবাদের ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা ভারত ইনফোটেককে ১২ বছরের শিশুদের ওপর কেভিড-১৯ ভ্যাকসিনের 'ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল' দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
আমেরিকার টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা ফাইজার এবার ভারতে তাদের তৈরি করােনা টিকা বাজারে আনার জন্য আবেদন করল ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া-এর কাছে।
কোভ্যাক্সিন টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের পরও কোভিড পজিটিভ হরিয়ানার স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনিল ভিজ। ২০ নভেম্বর কোভ্যাক্সিন টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে অংশ গ্রহণ করেছিলেন।
ভারত বায়ােটেক-এর কর্তা এও জানিয়েছেন, কোভ্যাক্সিন কতটা কার্যকরী ও নিরাপদ, তা নিয়ে আগামী দু-তিন মাসের মধ্যে তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের ফলাফল জানানাে হবে।
আগামী বছরের গােড়াতেই একাধিক করােনা টিকার গবেষণা এবং উৎপাদনের ক্ষেত্রে সাফল্যের আশা করছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন।