২১ দিনের লকডাউনের ফলে ভারতের আর্থিক অবস্থার চরম অবনতি হয়েছে। বিশ্ব ব্যাঙ্কের পক্ষে জানানো হয়েছে চলতি আর্থিক বর্ষে আর্থিক বৃদ্ধির হার ১.৫৮ শতাংশের বেশি হবে না।
বহু রাজ্য প্রধানমন্ত্রীর লকডাউন ঘোষণার মেয়াদ বৃদ্ধির অনুরোধ জানিয়েছে। কারণ করোনা সংক্রমণ বাড়লে তা মোকাবিলার কোনও পরিকাঠামো অধিকাংশ রাজ্যেই নেই।
১৪ এপ্রিল ২১ দিনের লকডাউনের মেয়াদ শেষ হলেও তা সম্পূর্ণ প্রত্যাহার না করার পক্ষপাতি বলে মত প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দেশে যে ভাবে বাড়ছে, তাতে বিভিন্ন রাজ্য সরকার ও বিশেষজ্ঞরা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেছে।
একাধিক রাজ্য কেন্দ্রের কাছে আবেদন করেছে এই লকডাউনের মেয়াদ আরও বাড়ানোর জন্য। একই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে মোদি মন্ত্রিসভার বেশ কিছু মন্ত্রীর তরফে।
করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় দেশজুড়ে ২১ দিনের লকডাউন শেষ হচ্ছে ১৪ এপ্রিল। সেই মেয়াদ আরও বাড়িয়ে ৩ জুন পর্যন্ত জারি রাখার আবেদন করেছেন কে চন্দ্রশেখর রাও।
করোনা মোকাবিলায় রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিসভার সদস্য ও সাংসদদের ৩০ শতাংশ কম বেতন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ক্যাবিনেট বৈঠকে।
অবশেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশে করোনা মোকাবিলায় বিরোধী নেতা ও প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিদের সঙ্গে ফোনে পরামর্শ করলেন।
করোনা মোকাবিলায় ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক ২৫'টি দেশের জন্য ১.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছে।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় ধাপে ধাপে লোডশেডিং করানো এবং ধাপে ধাপে তা স্বাভাকি করারও চিন্তা করা হচ্ছে।