প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধে আলো বন্ধ হলেও চলবে পাখা, ফ্রিজ, এসি

পরিস্থিতি মোকাবিলায় ধাপে ধাপে লোডশেডিং করানো এবং ধাপে ধাপে তা স্বাভাকি করারও চিন্তা করা হচ্ছে।

Written by SNS New Delhi | April 5, 2020 1:13 pm

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (File Photo: IANS/BJP)

করোনা মোকাবিলায় দেশকে ঐক্যবদ্ধ করার উদ্দেশে রবিবার রাত ৯টা থেকে ৯ মিনিটের জন্য আলো বন্ধ রাখার অনুরোধ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। দু’দিন আগে জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, আলো নিভিয়ে প্রদীপ, টর্চ, মোবাইলের আলো জ্বালান।

তাঁর এই ভাষণের পর চিন্তায় পড়েছে বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকরা। আজ, রবিবার যদি রাত ৯টা থেকে সকলে আলো বন্ধ করে দেন, সেক্ষেত্রে সারা দেশ যেমন অন্ধকারে ডুবে যাবে, সেই সঙ্গে হতে পারে ব্ল্যাক আউট। একসঙ্গে আলো নিভিয়ে পুনরায় আলো একসঙ্গে জ্বালালে ধাক্কা খেতে পারে পাওয়ার গ্রিডও।

কিন্তু বিদ্যুৎ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এমন ঘটনা ঘটবেনা। কারণ, ফ্যান, এসি, ফ্রিজ, কম্পিউটার, টিভি বন্ধ করার দরকার নেই। শুধুমাত্র আলো নেভালেই হবে। এই নিয়ম মানলে কোনও বিপর্যয় ঘটবে না। এছাড়া হাসপাতাল, জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন দফতর, পুলিশ স্টেশনের আলো জ্বালিয়ে রাখারও নির্দেশ দিয়েছেবিদ্যুৎ মন্ত্রক। রাস্তার আলোও জ্বলবে। ফলে ব্ল্যাক আউটের সমস্যা থাকছে না।

প্রসঙ্গত, শুত্রবার পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশনের কর্তাদের সঙ্গে ব্ল্যাক আউট প্রসঙ্গে বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী রাজকুমার সিং। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ধাপে ধাপে লোডশেডিং করানো এবং ধাপে ধাপে তা স্বাভাকি করারও চিন্তা করা হচ্ছে। একই রাস্তায় হেঁটে ইতিমধ্যে ধাপে ধাপে লোডশেডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তরপ্রদেশের বিদ্যুৎ দফতর। বাকি রাজ্যগুলো একই পথে হাঁটবে বলে মনে করা হচ্ছে।

যদিও কেন্দ্রীয় বিদ্যুমন্ত্রী নীতিন রাউত আশ্বস্ত করেছেন, দেশে ব্ল্যাক আউট হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ধাপে ধাপে লোডশেডিং করানো এবং ধাপে ধাপে তা স্বাভাবিক করার প্রক্রিয়াকে কাজে লাগিয়ে এই উদ্দেশ্য সফল করা হবে।

এদিকে, শনিবার কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী রাজকুমার সিং রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে বিকেল ৫’টা নাগাদ ফোন করেন। রাজ্যের বিদ্যুত্মন্ত্রীকে আশ্বস্ত করে কেন্দ্রীয় বিদ্যুম্মন্ত্রী জানান, পাওয়ার গ্রিডে কোনও সমস্যা হবে না। কেন্দ্রীয় নির্দেশিকা রাজ্য যাতে মেনে চলে।

অন্যদিকে, বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানান, ব্যক্তিগতভাবে যে বিদ্যুৎ মানুষজন ব্যবহার করেন, তা সাময়িক বন্ধ থাকলে কোনও প্রভাব পাওয়ার গ্রিডে পড়বে না। রাজ্যের বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকরা এই সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল রয়েছে। কারণ, কোথায় কিভাবে পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন বাড়ানো কমানো হয় তা আধিকারিকদের অজানা নয়।