তিনিটি কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে ভারতীয় কিসান ইউনিয়ন। সব পক্ষের সঙ্গে আলােচনা না করেই এই আইন আনা হয়েছে বলে তাদের অভিযােগ।
দেশজুড়ে চরম আকার নিয়েছে কৃষক আন্দোলন। এমনকি কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন কৃষকরা।
কৃষক আন্দোলনে যােগ দেওয়া আন্দোলনকারীদের মৃত্যুর প্রসঙ্গ তুলে সরকারকে তােপ দেগে রাহুল বলেন, আর কতজন কৃষককে বলিদান দিতে হবে এই আন্দোলনে?
১৪ ডিসেম্বর দেশের কৃষি আইনের বিরোধিতায় দেশজুড়ে প্রতিবাদ সভা হবে। দিল্লি-জয়পুর হাইওয়ে ১২ ডিসেম্বর প্রতিবাদের অংশ হিসেবে অবরোধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কৃষকরা।
কৃষক আন্দোলনে সামিল শিখ সম্প্রদায়। আর সেই আন্দোলন এখন আর শুধুমাত্র ভারতে সীমাবদ্ধ নেই। ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের বহু দেশে।
বিতর্কিত তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে প্রায় দু'সপ্তাহ ধরে রাজধানীতে বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন কৃষকরা।
কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের ক্ষোভ ক্রমশ তীব্র হচ্ছে। বিরােধী দলগুলিকৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছে।১৬ টি রাজনৈতিক দল কেন্দ্রের বিরুদ্ধে কৃষক বিক্ষোভকে সমর্থন করছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলােয় দেশে এটাই বৃহত্তম কৃষক আন্দোলন, যেখানে করােনা সংক্রমণের প্রকোপকে ভুলে শহরের প্রান্তে কয়েক লক্ষ কৃষক জড়াে হয়ে কৃষক আন্দোলন করছেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি সোমবার বলেন, সংস্কার প্রয়োজন দেশের উন্নয়নে। এটা খুব জরুরি। বছরের পর বছর ধরে চলে আসা বেশ কিছু আইন বর্তমান পরিস্থিতিতে বােঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কৃষি আইন নিয়ে কোনও সমাধানে আসতে পারল না কেন্দ্রীয় সাকার। তাই ৯ ডিসেম্বর বুধবার কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আরও একদফা বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা।