• facebook
  • twitter
Monday, 15 December, 2025

বর্তমানে কাজের চাপে ইনফার্টিলিটি বা বন্ধ্যাত্ব সংখ্যা বাড়ছে

সারাদিনের স্ট্রেস, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মোবাইল বা কম্পিউটার স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকা, দেরিতে সন্তান নেওয়ার সিদ্ধান্ত এবং খাদ্যাভ্যাসের অবনতি-সব কিছু মিলেই জন্ম দিচ্ছে এক নতুন প্রকার সমস্যা

ইনফার্টিলিটি বা বন্ধ্যাত্ব সমস্যা একটি জ্বলন্ত সমস্যা। বর্তমান সময়ে সেই সংখ্যা হু হু করে আরও বেড়ে চলেছে। পিসিওএস, এন্ডোমেট্রিওসিসি, লো ওভ্যারিয়ান রিজার্ভ বা খারাপ স্পাম কোয়ালিটির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আধুনিক জীবনযাত্রা। আধুনিক চিকিৎসকরা বলছেন, সারাদিনের স্ট্রেস, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মোবাইল বা কম্পিউটার স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকা, দেরিতে সন্তান নেওয়ার সিদ্ধান্ত এবং খাদ্যাভ্যাসের অবনতি-সব কিছু মিলেই জন্ম দিচ্ছে এক নতুন প্রকার সমস্যা। যার নাম দেওয়া হয়েছে, ‘লাইফস্টাইল ডিসঅর্ডার অফ ইনফার্টিলিটি’

স্যাম্পল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেমের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ভারতের মোট প্রজনন হার নেমে এসেছে ১.৯-এ, যা রিপ্লেসমেন্ট লেভেল ২.১-এর নীচে। দিল্লি, কর্ণাটক, পাঞ্জাব, পশ্চিমবঙ্গ-সহ ১৮টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এখন রিপ্লেসমেন্ট লেভেলের নীচে। বর্তমানে বহু দম্পতি প্রথমে কেরিয়ার, আর্থিক স্থিতিশীলতা বা ব্যক্তিগত লক্ষ্য পূরণ করেই মা-বাবা হতে চাইছেন। কিন্তু মহিলাদের ডিম্বাণুর মান এবং সংখ্যা ৩২-এর পর থেকে দ্রুত কমতে থাকে। পুরুষদের ক্ষেত্রেও অনিয়মিত জীবনযাপন, ধূমপান-অ্যালকোহল, রাতজাগা,কাজের চাপে কমে যাচ্ছে স্পার্ম কাউন্ট ও মোটিলিটি।

Advertisement

কাজের চাপ, স্ক্রিন-নির্ভর জীবন, অনিয়মিত ঘুম এবং টালমাটাল জীবনযাপনে হরমোনাল ইমব্যাল্যান্স বেড়েই চলেছে।  একই সঙ্গে বাড়ছে স্থূলতা যা ইনফার্টিলিটির সবচেয়ে বড় লাইফস্টাইল-ফ্যাক্টর। খাদ্যাভাসের পরিবর্তনও সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফল, শাকসবজি, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও পুষ্টিকর খাবারই পারে হরমোনকে সুষম রাখতে এবং ডিম্বাণু-স্পার্মের গুণমান বাড়াতে।

Advertisement

পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি মানসিক চাপও তা আরও বাড়িয়ে তুলেছে। এছাড়া ব্যস্ত জীবনে দম্পতিরা নিজেদের জন্য সময়ই পাচ্ছেন না। ফলে উদ্বেগ, হতাশা, বার্নআউট, সব মিলিয়ে তৈরি হচ্ছে বিরাট সমস্যা, যেখানে শারীরিক ও মানসিক দুই দিক থেকেই কমছে প্রজনন ক্ষমতা।

ইনফার্টিলিটিকে লাইফস্টাইল ডিসঅর্ডার হিসেবে চিনতে হবে। সময় থাকতে সচেতন হতে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাহলেই সমস্যা সমাধানের জন্য প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে নেওয়া যাবে। নিয়মিত স্ক্রিনিং, স্বাস্থ্যকর খাবার, ব্যায়াম, স্ট্রেস-ম্যানেজমেন্ট, ধূমপান-অ্যালকোহল ছেড়ে দেওয়া, পর্যাপ্ত ঘুম- এ সবই পারে পরিস্থিতি বদলাতে। আর কেউ যদি চান দেরিতে সন্তান নেবেন সেক্ষেত্রে এগ বা স্পার্ম ফ্রিজিং  বর্তমানে সবচেয়ে কার্যকর উপায়।

 

Advertisement