• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

আন্দোলনে মিশছে দেশবিরােধীরা অভিযোগ কেন্দ্রীয় সরকারের

তিনিটি কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে ভারতীয় কিসান ইউনিয়ন। সব পক্ষের সঙ্গে আলােচনা না করেই এই আইন আনা হয়েছে বলে তাদের অভিযােগ।

কৃষক আন্দোলন (Photo: IANS)

আন্দোলনের ঝাঁঝ আরও বাড়ালেন কৃষকরা। আন্দোলনকারীরা আগেই হুমকি দিয়ে রেখেছিলেন এদিন বিভিন্ন হাইওয়ে অবরােধ করবেন তারা। একই সঙ্গে বিভিন্ন হাইওয়ের ওপর টোল প্লাজাগুলিকেও ফ্রি করে দেবেন বলে জানিয়েছিলেন তাঁরা। অর্থাৎ গড়িচালকদের থেকে টোল সংগ্রহ করতে দেবেন না কৃষকরা।

সেইমতাে এদিন দিল্লি সংলগ্ন বেশ কয়েকটি টোল প্লাজায় গিয়ে তা পুরােপুরি খুলে দিতে বাধ্য করেছে আন্দোলনকারী কৃষকরা। উদ্দেশ্য একটাই, আর্থিক ক্ষতির মাধ্যমে কেন্দ্রের ওপর চার আরও বাড়ানাে। এর পাশাপাশি দিল্লির প্রায় সব প্রবেশ পথ অবরুদ্ধ করে দিয়েছেন তাঁরা। দিল্লি-জয়পুর, দিল্লি-আগ্রা এক্সপ্রেসওয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অবরুদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে গাজিপুর সীমান্তও। 

Advertisement

এদিনই কৃষক আন্দোলন ১৭ দিনে পড়লাে। তাদের দাবি একটাই তিনটি নতুন কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে হবে। ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিশিচত করতে হবে সরকারকে। আর কেন্দ্রীয় সরকারও বুঝিয়ে দিয়েছে সংশােধনে রাজি হলেও আইন পরিবর্তন করতে তারা আদৌ রাজি নয়। বরং শুক্রবার সরকার কৃষকদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, বিক্ষোভে মিশে গিয়ে দেশবিরােধী এবং অতিবামপন্থী বা মাওবাদীরা আন্দোলনের অভিমুখকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে পারে। 

Advertisement

ইতিমধ্যেই তিনিটি কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে ভারতীয় কিসান ইউনিয়ন। সব পক্ষের সঙ্গে আলােচনা না করেই এই আইন আনা হয়েছে বলে তাদের অভিযােগ। সেখানে আরও অভিযােগ করা হয়েছে এই তিনটি আইনের জোরে এগ্রিকালচারাল প্রডাক্ট মার্কেটিং কমিটি বিলুপ্ত হবে। যার জেরে দেশে খাদ্যসঙ্কট পর্যন্ত দেখা দিতে পারে। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার থেকেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের গলায় কৃষি আন্দোলনে দেশবিরােধী সংগঠনের প্রভাবের কথা শােনা যেতে শুরু করেছে। 

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ অভিযােগ করেছেন, টুকরে টুকরে গ্যাং ইতিমধ্যেই কৃষক আন্দোলনে ঢুকে পড়েছে। তাদের জন্যই সরকারের সঙ্গে কৃষকদের আলােচনা ব্যর্থ হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। 

Advertisement