ইন্ডিগোর বিমান বাতিলের ঘটনা ‘অত্যন্ত গুরুতর এবং জনসাধারণের জন্য উদ্বেগের বিষয়’, তবে দিল্লি হাইকোর্ট ইতিমধ্যেই মামলাটির শুনানি করছে এবং অসামরিক বিমান নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিজিসিএ এর তদন্ত করছে। এই ত্রুটির কারণ খুঁজতে কমিটি গঠন করেছে। এই কারণে ইন্ডিগোর পরিষেবা নিয়ে জনস্বার্থ মামলা শুনতে রাজি হল না সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার এই মামলা খারিজ করে দেওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, আবেদনকারী দিল্লি হাইকোর্টে তাঁর অভিযোগ জানাতে পারেন।
ভারতের প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্তের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ, আবেদনকারী নরেন্দ্র মিশ্রকে বলেন, তাঁরা সুপ্রিম কোর্টে সমান্তরাল বিচার কাজ চালাতে চান না। এক্ষেত্রে হাইকোর্টে মামলার শুনানি চলার ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি হতে পারে। নরেন্দ্র মিশ্র বলেন, ‘উড়ান বাতিল করার বিষয়টি যাত্রীদের জানানো হয়নি। তিনি বলেন, প্রায় ২ হাজার ৫০০ উড়ান বিলম্বিত হয়েছে। দেশের ৯৫টি বিমানবন্দরে যাত্রীরা আটকে পড়েছেন। এঁদের অনেকেই বৃদ্ধ , অনেকে তরুণ। এঁদের মেঝেতে শুতে হচ্ছে। ‘
নরেন্দ্র মিশ্রর এই দাবি মেনে নেন প্রধান বিচারপতি। কিন্তু যেহেতু দিল্লি হাইকোর্টে মামলা চলছে তাই তাঁরা হস্তক্ষেপ করবেন না। তাঁকে হাইকোর্টে যাওয়ার পরামর্শ দেন প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, ‘সেখানে যদি আপনার অভিযোগ না শোনা হয়, তা হলে আপনি এখানে (সুপ্রিম কোর্টে) আসতে পারেন ।’ প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘এটি একটি গুরুতর বিষয়। লক্ষ লক্ষ মানুষ বিমানবন্দরে আটকা পড়েছেন। আমরা জানি, কেন্দ্র সরকার সময়োপযোগী পদক্ষেপ করেছে এবং বিষয়টি সম্পর্কে সচেতন হয়েছে। আমরা জানি, স্বাস্থ্যের সমস্যা এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা থাকতে পারে।
গত বেশ কিছুদিন ধরে ইন্ডিগোর বিমান পরিষেবা কার্যত ধসে পড়েছে। তবে এখন পরিষেবার কিছুটা উন্নতি ধটেছে। কী কারণে এই বিভ্রাট তা খতিয়ে দেখছে অসামরিক বিমান নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিজিসিএ। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে ইন্ডিগোর সিইও পিটার এলবার্সকেও। ইন্ডিগোর তরফে উপস্থিত প্রবীণ আইনজীবী মুকুল রোহতগি এদিন আদালতকে ডিজিসিএ-র গঠিত কমিটির কথা উল্লেখ করেন। তিনি বেঞ্চকে জানান যে, হাইকোর্টের আদেশে কমিটি এবং তার কাজ রেকর্ড করা হয়েছে। ইন্ডিগোর উড়ান বিপর্যয় নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে আগে থেকেই একটি মামলা চলছে। এই পরিস্থিতিতে জলস্বার্থ মামলায় হস্তক্ষেপ চায়নি সুপ্রিম কোর্ট।
Advertisement