পার্ক সার্কাস বাজারের ব্যবসায়ীদের জন্য পার্ক সার্কাস ময়দানে ৮৫ হাজার বর্গফুট জায়গা চিহ্নিত করেছে কলকাতা পুরসভা। পুরনো ৭৭ বছরের বাজার ভবনটি পুনর্গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে পুরসভা। ব্যবসায়ীদের জন্য ময়দানে অস্থায়ী স্টল তৈরি করতে ৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুরসভার এক আধিকারিক।
২০২২ সালের জুলাই মাসে বাজারের দ্বিতীয় তলার প্যারাপেট ভেঙে পড়ে এক ক্রেতা আহত হন। সেই ঘটনার পর বাজারটি বিপজ্জনক ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকেই ব্যবসায়ীরা বর্তমান বাজার ছাড়তে রাজি হননি। যদিও গত বছর মেয়র পরিষদ বৈঠকে বাজারটি ভেঙে নতুন করে নির্মাণের প্রস্তাব পাশ হয়। তার পর পাঁচ মাস আগে পুরসভার আধিকারিক ও ব্যবসায়ীদের একটি প্রতিনিধি দল পার্ক সার্কাস ময়দান পরিদর্শন করেন।
Advertisement
অনেক আগে রিলায়েন্স রিটেলও বাজারটি যৌথভাবে উন্নয়নের প্রস্তাব দিয়েছিল, কিন্তু প্রায় ৫৫০ জন ব্যবসায়ীর আপত্তির কারণে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়নি। ২০২২ সালের দুর্ঘটনার পর পুরসভা আবার বাজার সংস্কারের পরিকল্পনা হাতে নেয়। পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারদের পরিদর্শন ও গঠনগত পরীক্ষায় দেখা গেছে, ভবনটি আরও বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে।
Advertisement
ব্যবসায়ীরাও স্বীকার করছেন, বাজারের অনেক অংশ জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। তবে অনেক ব্যবসায়ী এখনও পার্ক সার্কাস ময়দানে অস্থায়ীভাবে স্থানান্তরিত হতে চাইছেন না, কারণ তারা ব্যবসা ক্ষতির আশঙ্কা করছেন। তারা আশেপাশে অন্য কোনও জায়গায় স্থানান্তরের দাবি তুলেছেন। কিন্তু পুরসভা কাছাকাছি কোনও বিকল্প জায়গা খুঁজে পায়নি।
২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে ব্যবসায়ীদের উৎসাহিত করতে পুরসভা একটি প্রণোদনা প্রকল্পও চালু করে। সেখানে বলা হয়েছিল, যারা পার্ক সার্কাস ময়দানে স্থানান্তরে রাজি হবেন, তাদের স্টল ভাড়ার ৫০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হবে। তবুও অধিকাংশ ব্যবসায়ী সেই প্রস্তাবে সাড়া দেননি।
মেয়র ফিরহাদ হাকিম ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে বলেছেন, যদি আবার কোনো দুর্ঘটনা ঘটে, তার দায় ব্যবসায়ীদেরই নিতে হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা ব্যবসায়ীদের জানিয়েছি, যত দ্রুত সম্ভব বাজার পুনর্গঠন শেষ করবো।’ তবে বাজার ব্যবসায়ী সমিতির এক সদস্যের কথায়, ‘২০২৮ সালের আগে নতুন বাজারের কাজ শেষ হবে না। এখন দেখার বিষয়, ব্যবসায়ীরা পুরসভার স্থানান্তরের প্রস্তাব মেনে নেন কি না।’
Advertisement



