• facebook
  • twitter
Sunday, 4 May, 2025

ধাপার আবর্জনা পরিষ্কারে বায়োমাইনিং ফিরিয়ে আনতে দরপত্র পুরসভার

বর্তমানে ধাপায় বিপুল পরিমাণ বর্জ্য জমে রয়েছে, যার থেকে মিথেন গ্যাস উৎপন্ন হচ্ছে এবং মাঝে মধ্যেই আগুন লাগার ঘটনা ঘটছে।

ফাইল চিত্র

বেলগাছিয়া ভাগাড়ে সাম্প্রতিক দুর্ঘটনার পর আবর্জনা ব্যবস্থাপনা নিয়ে নতুন করে চিন্তিত হয়েছে কলকাতা পুরসভা। ধাপা ডাম্পিং গ্রাউন্ডে আবর্জনার স্তূপ কমাতে কয়েক বছর আগে বায়োমাইনিং পদ্ধতির কাজ শুরু হয়েছিল। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে না পারায় বরাতপ্রাপ্ত সংস্থার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছে পুরসভা। ফেব্রুয়ারির পর থেকে সেই কাজ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে রয়েছে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, দ্রুত নতুন সংস্থা নির্বাচনের জন্য দরপত্র আহ্বানের প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।

বর্তমানে ধাপায় বিপুল পরিমাণ বর্জ্য জমে রয়েছে, যার থেকে মিথেন গ্যাস উৎপন্ন হচ্ছে এবং মাঝে মধ্যেই আগুন লাগার ঘটনা ঘটছে। নিয়মিত জল ছিটিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে, পাশাপাশি দমকল বিভাগকেও সক্রিয় থাকতে হচ্ছে। পুরসভার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ২০২০ সালে চুক্তিবদ্ধ সংস্থাকে বায়োমাইনিং সম্পূর্ণ করার জন্য তিন বছরের সময় দেওয়া হয়েছিল। পরে আরও দু’বছর বাড়তি সময় মঞ্জুর করা হলেও সংস্থা কেবল ১৫ লক্ষ টন বর্জ্য সরাতে সক্ষম হয়েছে, যেখানে মোট লক্ষ্য ছিল ৪০ লক্ষ টন। তাই সংস্থাটিকে পুরসভার তরফে কালো তালিকাভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

মেয়র পারিষদ (কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা) দেবব্রত মজুমদার জানিয়েছেন, ধাপায় ফের বায়োমাইনিং কাজ শুরুর জন্য পরিকল্পনা তৈরি হচ্ছে। প্রতিদিন ধাপায় প্রায় ৫ হাজার টন বর্জ্য জমছে, যার মধ্যে ৫০০ টন আসে সল্টলেক, নিউটাউন ও পানিহাটি এলাকা থেকে। উল্লেখ্য, বায়োমাইনিং পদ্ধতিতে জীবাণুর সাহায্যে আবর্জনা থেকে ধাতু, সার ও অন্যান্য উপযোগী সামগ্রী আলাদা করা হয়।

পুরসভা সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ভবিষ্যতে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও মূল্যবান সামগ্রী তৈরির জন্য বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র তৈরি করার পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে। আধিকারিকরা মনে করছেন, বায়োমাইনিং বন্ধ হওয়া ধাপার উন্নয়ন প্রকল্পে বড় বাধা তৈরি করেছে। বিশেষ করে আধুনিক স্যানিটারি ল্যান্ডফিল নির্মাণের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় অনুদান পাওয়ার সম্ভাবনাও এতে প্রভাবিত হতে পারে।