পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে পাঞ্জাব থেকে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হল। পাঞ্জাব পুলিশ এক্স হ্যান্ডলে দুই পাকিস্তানি চরের গ্রেপ্তারির কথা জানিয়েছে। ধৃতদের নাম – পাসক মসীহ এবং সুরজ মসীহ। সেনাছাউনি, বায়ুসেনার ঘাঁটি এবং সেনাদের গতিবিধি সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য পাচার করতেন ধৃতেরা। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, হরপ্রীত সিংহ নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে যোগ রয়েছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের। হরপ্রীতই এই দু’জনকে চরবৃত্তির কাজে লাগিয়েছিলেন। চরবৃত্তির অভিযোগে আগেই হরপ্রীতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি এখন অমৃতসর সেন্ট্রাল জেলে বন্দি।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তরা সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে থাকতেন। তারপর সুযোগ বুঝে বিভিন্ন স্পর্শকাতর জায়গার ছবি তুলে পাকিস্তানে পাচার করতেন। দীর্ঘদিন ধরেই তাঁরা ওই ‘চরবৃত্তি’ চালিয়ে যাচ্ছিলেন বলেই জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। আর এতেই চিন্তা বেড়েছে তদন্তকারী আধিকারিকদের। পহেলগাম কাণ্ডের পর থেকেই রাজ্যজুড়ে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। সেই অভিযানের সময় তাদের কাছে খবর আসে দুই ব্যক্তি পাকিস্তানে ভারতীয় সেনার তথ্য পাচার করছেন। এরপরই পাসক ও সুরজকে গ্রেপ্তার করে অমৃতসর গ্রামীণ পুলিশ।
পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে দু’দিন আগেই রাজস্থানে পঠান খান নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর সঙ্গে অমৃতসরে ধৃত দু’জনের কোনও যোগসূত্র রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা। ২০১৩ সালে পাঠান পাকিস্তানে যান। সেই সময় ওই দেশের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের কিছু আধিকারিকদের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়েছিল। রীতিমতো লোভ দেখিয়ে পাঠানকে এই কাজে নামানো হয়। সেখানেই চরবৃত্তির প্রশিক্ষণ পান পাঠান। তদন্তে গোয়েন্দারা জানতে পারেন, কখনও নগদ, কখনও সোনার আংটি বা অন্য কোনও উপহার পেতেন তিনি।