আগামী দু-এক দিনের মধ্যেই আপৎকালীন ব্যবহারের অনুমতি পেতে চলেছে ভারতে তৈরি কোভিড পিল ‘মলনুপিরাভির’। বুধবার একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে এ কথা জানান কোভিড স্ট্র্যাটেজি গ্রুপের চেয়ারম্যান ড.রাম বিশ্বকর্মা। তিনি জানান , ‘মলনুপিরাভির’ নামের এই অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী হবে। যা কোভিড আক্রান্ত সংকটজনক রোগীদের প্রাণ বাঁচাতে সক্ষম।
অন্য সংস্থা ফাইজারের পিল ‘প্যাক্সলোভিডে’র আপাৎকালীন ব্যবহারের অনুমতি আরও কয়েকদিন পরে মিলবে বলে জানা গিয়েছে। ড.রাম বিশ্বকর্মার মতে, এই দুটি ওষুধ বাজারে এলে কোভিড পরবর্তী পৃথিবীর চেহারা অনেকটাই বদলে যাবে।
Advertisement
তার দাবি, ভবিষ্যতে টিকাকরণের থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে এই ওষুধগুলির সঠিক ব্যবহার। ড.রাম বিশ্বকর্মা বলেন, এই দুটি পিল ভয়ংকর কোভিড -১৯ ভাইরাসের কফিনে শেষ পেরেক পুঁতবে।
Advertisement
ইতিমধ্যে যথেষ্ট পরিমাণ ‘মলনুপিরাভি’র আমাদের হাতে রয়েছে। অনুমতি মিললেই ব্যবহার করা যাবে। এই মুহূর্তে ভারতের মোট পাঁচটি কোম্পানি এই ওষুধ নিয়মিত উৎপাদনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। আমার মনে হয়, যে কোনও দিন মলনুপিরাভির ব্যবহারের অনুমতি মিলতে পারে। পিছিয়ে নেই ফাইজারও।
ইতিমধ্যেই দুই ধরনের অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে তারাও। এর মধ্যে একটি ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে শরীরে নেওয়ার। অন্যটি খাওয়ার। এই দু’টি ওষুধই সার্সের প্রতিরোধে ব্যবহার করা হয় ২০০২ সালে। সেই ওষুধকেই এবার করোনা রোগীদের চিকিৎসাতেও ব্যবহার করতে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছে ফাইজার।
ফাইজারের দাবি, তাদের পিল প্যাক্সলোভিড কোভিড আক্রান্ত রোগীকে গুরুতর অসুস্থ হতে দেয় না। সংকটজনক হলেও মৃত্যুর সম্ভাবনা কমে যাবে ৮৯ শতাংশ। আপাতত দুটি পিলই আপাৎকালীন ব্যবহারের অনুমতির জন্য অপেক্ষা করছে।
Advertisement



