কলকাতা ময়দান এখন মোহনবাগান ক্লাবের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরগরম। কিছুদিন আগেই সভাপতি টুটু বসু পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছিলেন। তারপরে প্রথম কার্যকরী কমিটির জরুরি সভায় টুটু বসুর ইস্তফাপত্র নিয়ে আলোচনা হলেও কোনওরম সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয়নি। আবার শুক্রবার কার্যকরী সমিতির সভায় টুটু বসুর ইস্তফা নিয়ে আলোচনা হয়। সেই সভায় তাঁর পদত্যাগপত্র মঞ্জুর করা নিয়ে সদস্যরা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে যান। শেষ পর্যন্ত ওই পদত্যাগপত্র ঝুলেই থাকল। সাংবাদিক বৈঠকে সচিব দেবাশিস দত্ত ও কুণাল ঘোষ জানান, টুটু বসুর ইস্তফাপত্র গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যান করা কোনওটাই হয়নি। কোনও সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারেননি সদস্যরা। তাই যে অবস্থায় ছিল, সেই অবস্থায়ই রয়ে গেল।
এদিকে একটি সংবাদপত্রে রাজনৈতিক নেতাদের ভূমিকা নিয়ে খবর প্রকাশ হওয়ায় উত্তপ্ত পরিবেশ তৈরি হয়। এই প্রসঙ্গে সচিব দেবাশিস দত্ত বলেন, মোহনবাগান ক্লাবে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা থাকতে পারেন, কিন্তু কেউই মোহনবাগান ক্লাবের ভিতরে রাজনীতি করেন না। তাঁরা প্রত্যেকেই মোহনবাগানের পক্ষ নিয়ে ভূমিকা পালন করে থাকেন। কিন্তু ওই দৈনিক সংবাদপত্রটিতে যেভাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিচালিত রাজনৈতিক দলকে ছোট করা হয়েছে, তা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। এমনকি ক্লাবের মধ্যেও বিভাজন করার একটা চেষ্টা করা হয়েছে। যেখানে রাজ্যকে মুখ্যমন্ত্রী সুন্দরভাবে পরিচালনা করছেন, সেখানে বিভেদ তৈরি করে আবহাওয়া কলুষিত করা হচ্ছে। তা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। তাই জোর গলায় এর প্রতিবাদ করা হচ্ছে। নিজেদের স্বার্থে মোহনবাগানের গরিমাকে যেভাবে তলানিতে নামিয়ে আনা হয়েছে, তা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। সেই কারণেই আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সচিব দেবাশিস দত্ত জানিয়েছেন, প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পরেই বিভিন্ন বিষয়ে মুখ খুলব। মনে রাখতে হবে, আমরা যে কোনও সিদ্ধান্তই দলগতভাবে নিয়ে থাকি। দল যেমন নির্দেশ দেবে, ঠিক সেইভাবেই কাজ করব।
Advertisement
অন্যদিকে মোহনবাগান ক্লাবের নির্বাচনী বোর্ড থেকে তিনজন পদত্যাগ করেছেন। অসীমকুমার রায় ও অনুপকুমার মণ্ডল নির্বাচনী বোর্ডে থাকলেও সরে দাঁড়ালেন বিশ্বব্রত বসুমল্লিক, সৌভিক মিত্র ও অভিষেক সিনহা। ওই তিন শূন্যস্থানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে অসীমকুমার মল্লিক, সুকোমল রায় ও বিশ্বরূপ দে’কে।
Advertisement
আবার ভবানীপুর ক্লাবে মোহনবাগান ক্লাবের সচিব পদপ্রার্থী সৃঞ্জয় বসু বর্তমান সচিব দেবাশিস দত্তের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি চাপে আছেন বলে অনেককিছু গুলিয়ে ফেলছেন। নির্বাচন নিয়ে যে খবর প্রকাশিত হচ্ছে দৈনিক সংবাদপত্রে, তা মূল্যায়ন করে দেখতে হবে। তিনি যা বলতে চেষ্টা করছেন, তা সঠিক নয়।
Advertisement



