• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

সিবিআই নজরে আলমারির সন্ধান পেতেই ডাক পড়ল চাবিওয়ালার

প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসেও তল্লাশি চালানো হয়। এদিন কলকাতার মোট ৬ টি জায়গায় অভিযান চলেছে। যেখানে দলে ছিলেন ৫০-৬০ জন সিবিআই অফিসার।

প্রাথমিকে টেট দুর্নীতির তদন্তে চিরুনি তল্লাশি শুরু করল সিবিআই। বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টা নাগাদ সিবিআয়ের পাঁচজনের প্রতিনিধি দল সল্টলেকে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ দফতরে যায় প্রাথমিক টেট দুর্নীতির তদন্তের জন্য।

একই সময়ে প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত আরও পাঁচটি জায়গায় তল্লাশি অভিযান শুরু করে এদিন সিবিআই। এদিকে সল্টলেকে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ দফতরে তল্লাশি অভিযানের মাঝেই তাঁদের নজরে আসে একটি আলমারির। কিন্তু পর্ষদের তরফ থেকে তখন দাবি করা হয় চাবি হারিয়ে গিয়েছে।

Advertisement

এমন অবস্থায় সংশ্লিষ্ট আলমারির চাবি বানানোর জন্য এক চাবিওয়ালাকে ঢাকেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। এদিন সংবাদমাধ্যমের সম্মুখীন হয়ে চাবিওয়ালা বলেন , ‘ আমাকে যে আলমারির চাবি তৈরি করার জন্য ডাকা হয়েছিল , সেটি কাগজপত্রে ঠাসা ছিল।

Advertisement

‘মূলত এরপরই শুরু হয় নানান জল্পনার । প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে হটাৎ কেনোই বা ওই আলমারির চাবি হারিয়ে গেলো ? এতেই যাবতীয় তথ্য লুকিয়ে নেই তো ? ঠিক কি কি নথি রয়েছে ওইখানে ? এদিন চাবিওয়ালা আরো জানান , সিবিআই কর্তারা তাঁর ফোন নম্বরও নিয়ে রেখেছেন। প্রয়োজন হলে এমন আরও চাবি বানানোর জন্য ডাকা হতে পারে তাঁকে।

উল্লেখ্য , বৃহস্পতিবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যর যাদবপুরের দুটি বাড়িতে হানা দেন সিবিআই অফিসাররা। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচীর বাড়িতেও তল্লাশি চালায় সিবিআই। পাশাপাশি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসেও তল্লাশি চালানো হয়। এদিন কলকাতার মোট ৬ টি জায়গায় অভিযান চলেছে। যেখানে দলে ছিলেন ৫০-৬০ জন সিবিআই অফিসার।

Advertisement