শুক্রবার থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিবাদ শুরু হয়। শনিবারও পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার বদলে আরও খারাপ হতে থাকে।
রবিবার থেকেই এনআরসি এবং ক্যাব-এর প্রতিবাদে জেলা ও ব্লকস্তরে আন্দোলন সংগঠিত হবে। বুধবারের মিছিল শুরু হবে হাওড়া ময়দানে, শেষ হবে ধর্মতলায়।
বুধবার বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশােধনী বিল রাজ্যসভায় পাশ করিয়ে নেয় কেন্দ্র। প্রায় ৯ ঘণ্টার বিতর্কের পরে ভােটাভুটির জন্য বিলটি পাশ হয়ে যায়।
বাংলাদেশে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ বলেছে, ভারতে সংসদে নাগরিকত্ব সংশােধনী বিল পাশে বাংলাদেশের ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু জনগােষ্ঠী উদ্বিগ্ন।
পড়শি দেশ পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে আসা মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের ভারতের নাগরিকত্ব দিতে গত সােমবার লােকসভায় সিএবি পাশ করিয়ে নিয়েছে।
কেন্দ্রের নাগরিকত্ব বিল নিয়ে বিজেপি-শাসিত অসমেই ক্ষোভের আগুন জ্বলছে দাউদাউ করে। কার্ফু জারি করা হয়েছে সেখানে। বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা।
পরিস্থিতি একেবারে হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি অসমিয়া ভাষায় টুইট করে প্রত্যেককে আশ্বস্ত করতে চেয়েছেন।
হঠাৎই ভারত সফর বাতিল করে দিলেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী আবদুল মােমেন। খবরে প্রকাশ, সফর বাতিল করেছেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও।
নাগরিকত্ব বিলের বিরুদ্ধে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে উত্তরপূর্ব ভারত। বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের ডাকে মঙ্গলবার অসমে পালিত হয়েছে ১১ ঘন্টার বন্ধ।
নাগরিকত্ব (সংশােধনী) বিল নিয়ে রাজ্যসভায় টানা কয়েক ঘন্টা ধরে প্রতিবাদের ঝড় ওঠার পর রাতের দিকে বিলটি পাশ হয়ে যায়।