ক্যাব : সুপ্রিম কোর্টে তৃণমূল ও কংগ্রেসসহ দশটি মামলা দায়ের

বুধবার বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশােধনী বিল রাজ্যসভায় পাশ করিয়ে নেয় কেন্দ্র। প্রায় ৯ ঘণ্টার বিতর্কের পরে ভােটাভুটির জন্য বিলটি পাশ হয়ে যায়।

Written by SNS New Delhi | December 14, 2019 4:19 pm

সুপ্রিম কোর্ট (File Photo: iStock)

নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। আইনের মেয়াদ নিয়ে প্রশ্ন তুলে জরুরি ভিত্তিতে মামলার শুনানির আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি। তবে সেই আর্জি খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত।

সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এস এ বোবড়ের বেঞ্চে শুক্রবার বিষয়টি তােলেন মহুয়া মৈত্রের আইনজীবী। জরুরি ভিত্তিতে এই মামলার শুনানির দিন ধার্য করার জন্য আবেদন করা হয়। হয় এদিন, নয়তাে ১৬ ডিসেম্বর শুনানি করার জন্য আর্জি জানানাে হয়। তবে সেই আবেদন খারিজ করে দিয়ে বোবড়ে শুনানির তারিখ পাওয়ার জন্য মেনশনিং আইনজীবীর কাছে যেতে বলেন মহুয়ার আইনজীবীকে।

এর আগে, নাগরিকত্ব আইনকে শীর্ষ আদালতের পরীক্ষার সামনে দাঁড় করায় ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ (আইইউএমএল)। নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় এই মুসলিম সংগঠন। পিটিশনে তাদের অভিযােগ, প্রস্তাবিত এই আইন ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্বে অনুমােদন দিয়ে সংবিধান লঙ্ঘন করছে। বিরােধীরাও সংসদে একই দাবিতে সােচ্চার হয়েছিলেন। বলেছিলেন, সংবিধানের ১৪ নম্বর ধারায় যেখানে আইনের চোখে সবার সমান অধিকারের কথা বলা হয়েছে, সেই ধারাকে লঙঘন করছে এই বিল।

বুধবার বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশােধনী বিল রাজ্যসভায় পাশ করিয়ে নেয় কেন্দ্র। প্রায় ৯ ঘণ্টার বিতর্কের পরে ভােটাভুটির জন্য বিলটি পাশ হয়ে যায়। এদিন বিলের পক্ষে ১২৫টি ভােট পড়েছে, অন্যদিকে বিপক্ষে ভােট দেন ১০৫ জন সাংসদ।

সংসদের উভয় কক্ষে বিলটি পাশ হওয়ারপর তা পাঠানাে হয়েছিল রাষ্ট্রপতির কাছে। তাতে স্বাক্ষর করে সম্মতি জানিয়ে দিয়েছেন কোবিন্দ। সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সরকারি গেজেটে প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই এই আইন কার্যকরী হয়েছে। এই আইন অনুযায়ী ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষরা আর বেআইনি শরণার্থী হিসেবে বিবেচিত হবেন না, তারা হবেন ভারতীয় নাগরিক।