প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেওয়া সুন্দরবনকে আম্ফান ঝড়ে বিধ্বস্ত অবস্থায় দেখে সম্ভবত স্তম্ভিত কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল।
পশ্চিমবঙ্গকে এখন মোকাবিলা করতে হচ্ছে তিন-তিনটি বিপর্যয়ের- এক করোনা সংক্রমণ, দুই আম্ফান ঝড়ের প্রভাবে বিপর্যস্ত জীবন এবং তিন, ভিন রাজ্য থেকে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের ঢল।
শুক্রবার পরিবেশ দিবসে হরিশ পার্কে শহর কলকাতায় বৃক্ষরোপণ উদ্যোগের সূচনা করে নতুন করে সবুজ বাঁচানোর বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুক্রবার কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল আসছেন সুন্দরবনের আম্ফান বিধ্বস্ত অঞ্চল পরিদর্শনে। বৃহস্পতিবারই শহরে পৌঁছে গেছেন তাঁরা।
প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের প্রায় দু'সপ্তাহ পরেও এখনও বিদ্যুৎ পরিষেবা পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি, সেকথা বুধবার কার্যত স্বীকার করে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আম্ফান পরবর্তী পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ত্রাণসহ একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে আজ রাজভবনে যান বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী।
আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য দেড়শো কোটি টাকা অর্থসাহায্য বন্টন শুরু হল সোমবার থেকে। দুর্যোগের শিকার ন'টি জেলার কৃষকদের জন্য এই অর্থসাহায্য করা হল।
আম্ফানের দিন থেকে আজ পর্যন্ত এক লক্ষ গ্রাহক বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না। সিইএসসি নিশ্চিত করে বলতে পারছে না, ঠিক কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।
দ্রুত স্বাভাবিক হচ্ছে রাজ্য। কাজ চলছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায়। ফিরিয়ে আনা হচ্ছে বিদ্যুৎ-জল সহ অন্যান্য পরিষেবা। চলছে ত্রাণ বণ্টনের কাজ।
আইএমডি'র পূর্বাভাস আগামী পাঁচদিন তুমুল বৃষ্টিপাত হবে নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম এবং ত্রিপুরায়। এছাড়াও অসম, মেঘালয় এবং অরুণাচলপ্রদেশেও চলবে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি।