দলের বিপর্যয় নিয়ে রাজ্য কমিটির বৈঠকে রীতিমতাে কোণঠাসা হতে হয়েছে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রকে।
মঙ্গলবার সিপিএমের বৈঠকে সীতারাম ইয়েচুরির সামনেই রাজ্যে ভােটে ভাড়াডুবি নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন সর্বস্তরের নেতারা।
লােকসভা নির্বাচনে গোহারা হারল বামেরা। কোনও আসনে জিততে পারবেন না এই বিষয়টি আগে থাকতেই অনুমান করে নিয়েছিলেন আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের কর্তারা।
স্রোতের বিপরীতে সাঁতার কেটে বাংলাজুড়ে যাঁরা বুথে বুথে সিপিএমকে বাঁচিয়ে রাখার লড়াই করছেন, তাদের বাঁচানাের জন্য তৃণমূলের মহাসচিব তথা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শরণাপন্ন হলেন বিধানসভায় বিরােধী দলনেতা সুজন চক্রবর্তী।
বিক্ষিপ্ত ঘটনা বাদ দিলে মােটের ওপর শান্তিপূর্ণভাবেই সম্পন্ন হয় যাদবপুর লােকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন।
সােমবার বিকেলে দমদম কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী নেপালদেব ভট্টাচার্যের সমর্থনে খড়দহের রবীন্দ্রভবনের সামনে এক সভায় ঘাসফুল ও গেরুয়া শিবিরকে একযােগে বিঁধতে এমনই দাবি করলেন সীতারাম।
সকাল ১০টা নাগাদ মাদপুর হাইস্কুলে ভােট দেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অজিত মাইতি। সঙ্গে ছেলে অর্ক। সকাল ১১টা থেকে দুপুর আড়াইটে মেদিনীপুর এবং ঘটাল লােকসভা এলাকায় নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে রাখতে অজিতের অস্ত্র ছিল হােয়াটসঅ্যাপ।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে অভিযােগ তুলল বামপন্থীরা। রাজনৈতিক তরজায় মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব যতটা তৎপর, ততটাই নিষ্ক্রিয় রাজ্যের মানুষের উন্নয়নের ক্ষেত্রে।
সােমবার দুপুরে চণ্ডীতলা থানার অন্তর্গত কৃষ্ণরামপুর মাঠ হুগলি জেলার তিনটি লােকসভা কেন্দ্র শ্রীরামপুর, হুগলি ও আরামবাগের তিন বিজেপি প্রার্থী দেবজিৎ সরকার, লকেট চ্যাটার্জি ও তপন রায়ের সমর্থনে জনসভা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি।
বেলপাহাড়ির মতাে এলাকায় মিছিল ও জনসভা রাখলেও লােক না ভরাতে পারায় আরও একবার সিপিএমের সংগঠন যে তলানিতে ঠেকেছে তা প্রমাণ হল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।