নতুন বন্ধু খুঁজছে সিপিএম

দলের বিপর্যয় নিয়ে রাজ্য কমিটির বৈঠকে রীতিমতাে কোণঠাসা হতে হয়েছে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রকে।

Written by SNS Kolkata | June 6, 2019 3:25 pm

সিপিএম (Photo: Twitter)

দলের বিপর্যয় নিয়ে রাজ্য কমিটির বৈঠকে রীতিমতাে কোণঠাসা হতে হয়েছে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রকে। দলের সমস্ত সদস্য তাঁকে ভােট বিপর্যয় নিয়ে দুষেছেন। এমনকি সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি পর্যন্ত ছেড়ে কথা বলেননি তাঁকে।

পরাজয় নিয়ে সূর্যবাবুর জবাবে সন্তুষ্ট নয় দলের সংখ্যাগরিষ্ঠ মহল। এমতাবস্থায় দলীয় সম্পাদকের দায়িত্বে রীতিমতাে অনীহা প্রকাশ করেছেন তিনি। সিপিএম নেতৃত্ব মনে করছেন, পার্টির প্রতিষ্ঠার পর এমন বিপর্যয় কোনও দিন হয়নি। ২৬ শতাংশ বামেদের ভােট গেরুয়া শিবিরে গেছে। আর সেকারণে বামেরা নির্বাচনের ধুয়েমুছে সাফ হয়ে গেছে। এর দায় এড়াতে পারেন না সূর্যবাবু।

একাংশের যুক্তি দলের প্রতিষ্ঠার পর থেকে এমন বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হয়নি দলকে। সিপিএমের শীর্ষ নেতৃত্বের কথায়, ভােট বিপর্যয়ের হাত থেকে রেহাই এবং ঘুরে দাঁড়াতে নতুন বন্ধু খোজা প্রয়ােজন, যারা বামপন্থী দলগুলিকে সাহায্য করতে পারবে এবং বিজেপি ও তৃণমূলের বিকল্প হিসাবে নিজেদেরকে তুলে ধরা সম্ভব হবে।

সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। নির্বাচনের আগেই নতুন বন্ধুর খোঁজ করতে তারা আগ্রহী। কংগ্রেস তাে আছেই অন্য সমস্ত বামমনােভাবাপন্ন সিপিএম দলগুলির সঙ্গে আলােচনা করতে ভাবনা শুরু হয়েছে। ভােটে ভরাডুবির কারণ হিসাবে বেশ কিছু বিষয়কে চিহ্নিত করেছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। কিন্তু সেই যুক্তি মানতে রাজি নন একাধিক জেলা নেতৃত্ব। তা সত্ত্বেও দলের নেতা ও কর্মীদের মনােবল বাড়াতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে লাগাতার কর্মসূচি নিচ্ছে তাঁরা।

পাশাপাশি দলের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ করতে নতুন প্রজন্মকে আরও শামিল করার কথা বলা হয়েছে। তবে কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝােতার বিষয়টি নিয়ে আলােচনার রাস্তা খােলা রাখতে চাইছে তাঁরা। জোট ভেস্তে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে কংগ্রেসকেই দুষেছেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক। আগামী ৯ তারিখে দিল্লিতে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক বসছে। এই বৈঠকেই ভােটে ভরাডুবির বিষয়টি নিয়ে দলের রাজ্য নেতারা রিপাের্ট জমা দেবেন।

শুধু বাংলায় নয়, ভিন রাজ্যগুলিতে হতাশাজনক ফল হয়েছে সিপিএমের। অন্য সমস্ত রাজ্য রিপাের্ট দেবে। কিন্তু বঙ্গ সিপিএমের হতাশাজনক পরিস্থিতি কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না দলের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা। ফলে দলকে ঘুরে দাঁড়াতে আশু কি করণী, সে ব্যাপারে আলােচনা হবে বলে জানা গিয়েছে।