২১ দিনের লকডাউনের ফলে ভারতের আর্থিক অবস্থার চরম অবনতি হয়েছে। বিশ্ব ব্যাঙ্কের পক্ষে জানানো হয়েছে চলতি আর্থিক বর্ষে আর্থিক বৃদ্ধির হার ১.৫৮ শতাংশের বেশি হবে না।
কেন্দ্রীয় সরকারের সম্ভাব্য লকডাউন প্রত্যাহারের পরিকল্পনার অনুসরণে গোটা দেশের রেল জোনকে লাল, হলুদ ও সবুজ জোনে ভাগ করার কথা ভাবা হয়েছে।
বস্তুত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বারবারই বলেছে, লকডাউন স্থায়ী সমাধান নয়। তা সময় কেনার উপায় মাত্র।
গত একমাস ধরে পাইকারি বাজারে ৬০ শতাংশ যোগান কমছিল। ফলে দাম ঊর্ধ্বমুখী এমনিতেই ছিল। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে করোনার জেরে বিভিন্ন রাজ্যে মার্চের মধ্যভাগ থেকেই জারি হওয়া লকডাউন।
ভারতে এখনও করোনা গোষ্ঠী সংক্রমণের আকার নেয়নি বলে নিজেদের পূর্বের বক্তব্যকে খণ্ডন করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বিশ্বের যে ক'টি দেশ করোনার মোকাবিলায় সফল, তাদের মধ্যে অগ্রগণ্য দক্ষিণ কোরিয়া। তাদের তৈরি করোনা কিটের চাহিদাও রয়েছে।
রাজ্যের নয় থেকে দশটি করোনা হটস্পট এবং তৎসংলগ্ন অঞ্চলকে চিহ্নিত করে সেখানে সম্পূর্ণ লকডাউন তথা সিল করে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে রাজ্য সরকার।
বহু রাজ্য প্রধানমন্ত্রীর লকডাউন ঘোষণার মেয়াদ বৃদ্ধির অনুরোধ জানিয়েছে। কারণ করোনা সংক্রমণ বাড়লে তা মোকাবিলার কোনও পরিকাঠামো অধিকাংশ রাজ্যেই নেই।
বৃহস্পতিবার নবান্নে শিল্পসংস্থা এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা বাড়ছে, লকডাউন ভাঙা যাবে না। উপায় নেই, তাই বাধ্য হয়ে মানতে হচ্ছে।
দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল কলেজে (এইমস) এই মুহূর্তে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে অন্তত ৩০ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে।