৩’টি জোনে ভাগ করে চলতে পারে ট্রেন

কেন্দ্রীয় সরকারের সম্ভাব্য লকডাউন প্রত্যাহারের পরিকল্পনার অনুসরণে গোটা দেশের রেল জোনকে লাল, হলুদ ও সবুজ জোনে ভাগ করার কথা ভাবা হয়েছে।

Written by SNS New Delhi | April 11, 2020 3:42 pm

প্রতিকি ছবি (File Photo: iStock)

লকডাউনের পরে কবে থেকে যাত্রিবাহী ট্রেন চলবে? উত্তর জানে না রেল মন্ত্রক। কেন্দ্রীয় সরকারের শীর্ষ স্তরের তরফে যাত্রিবাহী ট্রেন চলাচল শুরু করার নির্দেশ এলে লকডাউনের পরে কী ভাবে ট্রেন চালানো হবে?

সুত্রের খবর, লকডাউনের পরে ট্রেন চালানোর জন্য একটি খসড়া পরিকল্পনা তৈরি করেছে রেল বোর্ড। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই খসড়া পরিকল্পনা অনুমোদিত হলেই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এই খসড়া পরিকল্পনায় কেন্দ্রীয় সরকারের সম্ভাব্য লকডাউন প্রত্যাহারের পরিকল্পনার অনুসরণে গোটা দেশের রেল জোনকে লাল, হলুদ ও সবুজ জোনে ভাগ করার কথা ভাবা হয়েছে।

লাল জোনের অর্থ হল, করোনা প্রভাবিত ‘হাই রিস্ক’ অঞ্চল, যেখানে এই মুহুর্তে ট্রেন চলাচলের কোনও সম্ভানা নেই। এই রাজ্যগুলির মধ্যে আছে মহারাষ্ট্র, কেরালা, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ।

হলুদ জোন হল সেই সব অঞ্চল যেখানে করোনার প্রভাব মৃদু এবং যেখানে সব রকমের সতর্কতা গ্রহণ করে পর্যায়ক্রমিক ন্যূনতম যাত্রী পরিষেবা শুরুর কথা ভাবা যেতে পারে।
আর একেবারে শেষ ধাপে আছে সবুজ জোন, যেখানে করোনার প্রভাব খুবই কম।

সূত্রের খবর, প্রাথমিক খসড়া তালিকায় আপাতত সবুজ জোনে রাখা হয়েছে কম করোনা প্রভাবিত রাজ্য পশ্চিমবঙ্গকে, যেখানে লকডাউন প্রত্যাহারের পরে সব রকম সতর্কতা সহ যত দ্রুত সম্ভব যাত্রিবাহী ট্রেন চলাচল শুরুর কথা ভাবছে রেল মন্ত্রক।

সুত্রের খবর, লকডাউনের পরে ট্রেন চলাচলের ক্ষেত্রে সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার উপরে। ভাবা হয়েছে আপাতত রেলের থ্রি টায়ার কোচে মাঝের বার্থে কোনও বুকিং না নেওয়ার। শুধুমাত্র বসে যাতায়াত করা যায় এমন কোচেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। প্রতিটি যাত্রীকে রেল ভ্রমণের সময় মাস্ক ব্যবহার করতেই হবে, না করলেই শাস্তি এবং বড় রকমের আর্থিক জরিমানার কবলে পড়তে হতে পারে তাদের।

সূত্রের খবর, মন্ত্রকের ভাবনার মধ্যে রয়েছে আপাতত ঊর্ধ্ব ব্যক্তিদের ট্রেন ভ্রমণ নিষিদ্ধ করার বিষয়টিও। আপাতত বেশ কিছুদিন ট্রেনে খাবার পরিবেশন বন্ধ রাখার কথাও ভাবছে রেল মন্ত্রক। প্রতিটি স্টেশনে থার্মাল চেকিং করার পাশাপাশি দূরপাল্লার ট্রেনের যাত্রাপথেও যাত্রীদের চেকিংয়ের ব্যবস্থা করতে চাইছে মন্ত্রক। যতদিন পর্যন্ত না করোনার প্রভাব থেকে দেশ পুরোপুরি মুক্ত হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত ট্রেনে কোনও অসংরক্ষিত কামরা রাখা হবে না, ভাবছে রেল বোর্ড।

লকডাউনের পরে বেশ কয়েক দিন শুধু স্পেশ্যাল ট্রেন চালিয়ে পুরো পরিস্থিতিটা নজরে রাখার ভাবনাও রয়েছে রেল বোর্ডের। যে সব জায়গায় করোনা হটস্পট রয়েছে, সেখানে কোনও ট্রেন থামানো হবে না, এই ভাবনাও রয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পাশাপাশি রাজ্য সরকারগুলির সহায়তা নিয়েই পুরো পরিকল্পনার বাস্তবায়ন চাইছে রেল কর্তারা।

রেল বোর্ড সূত্রের খবর, খসড়া পরিকল্পনা চূড়ান্ত হওয়ার পরে ট্রেন চলাচল শুরু হলে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের রেলস্টেশনে বা তার আশপাশে আটকে থাকা জনসাধারণকে তাদের গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান ভি কে যাদব একটি ভিডিয়ো কনফারেন্সে দেশের প্রধানদের সঙ্গে যখন বিস্তারিত আলোচনা করেন, তখন প্রতিটি জোনে আটকে থাকা লোকের সংখ্যা ও কোন কোন রুটে কতগুলি টেন প্রয়োজন, তার হিসেব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।