করোনা আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা করতে গিয়েই ফের সংক্রামিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে ডাক্তার-স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে। দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল কলেজে (এইমস) এই মুহূর্তে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে অন্তত ৩০ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে। সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা দেখা দিয়েছে আরও কয়েকজন ডাক্তার ও নার্সের মধ্যেও।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, ৭০ বছরের এক রোগীর কার্ডিও সমস্যা ছিল। স্নায়বিক জটিলতাও ছিল। তাঁকে হাসপাতালের কার্ডিও-নিউরো সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছিল। দিনকয়েকের মধ্যেই ওই রোগীর তীব্র শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। পরীক্ষা করে দেখা যায় তিনি কোভিড ১৯ পজিটিভ। ততদিনে ওই রোগীর সংস্পর্শে এসেছিলেন কয়েকজন ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। তাঁদের সকলকেই চিহ্নিত করে দ্রুত কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।
Advertisement
করোনা আক্রান্ত ওই রোগীকে এখন ট্রমা সেন্টারে রাখা হয়েছে। তাঁর অবস্থা সঙ্কটজনক বলে খবর। এইমস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, কার্ডিও-নিউরো সেন্টারে ওই কেবিন স্যানিটাইজ করা হচ্ছে। সংক্রমণ সন্দেহে কোয়ারেন্টাইনে রাখা স্বাস্থ্যকর্মীদের নমুনা পাঠানো হয়েছে ল্যাব-টেস্টের জন্য। সংক্রমণ ছড়ানোর ভয়ে ওই সেন্টারের বাকি ডাক্তাররাও আতঙ্কে রয়েছেন।
Advertisement
গত এক সপ্তাহ ধরেই দেশের নানা হাসপাতাল, নার্সিংহোমে ডাক্তার, নার্স, প্যারামেডিক্যাল স্টাফদের সংক্রামিত হওয়ার খবর আসছে। উপসর্গের লক্ষ্যহীন। রোগীর কাছাকাছি আসায় অনেক স্বাস্থ্যকর্মীকেই কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
দিনকয়েক আগেই দিল্লির সফদরজঙ্গ হাসপাতালে কোভিড ১৯ পজিটিভ এক রোগীর চিকিৎসা করতে গিয়ে সংক্রামিত হন একজন ডাক্তার। দিল্লিরই স্যর গঙ্গারাম হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে ১০৮ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে। স্টেট ক্যানসার হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৪০ জন ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মী। করোনা আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শ থেকে সংক্রমণ তাদের মধ্যেও ছড়িয়েছে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে।
মুম্বইয়ের ওকহার্ড হাসপাতালের অবস্থাও ভয়াবহ। ইতিমধ্যেই সেখানকার ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে ৪০ জন করোনা আক্রান্ত। তাঁদের মধ্যে তিনজন ডাক্তার ও জন নার্স গোটা হাসপাতালকেই সংক্রামিত এলাকা বলে ঘোষণা করেছে বৃহনমুম্বই মিউনিসিপ্যাল কপোরেশন হাসপাতালের দরজাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যশলোক হাসপাতালেরও একই অবস্থা। অন্তত ১০০ জন মেডিক্যাল স্টাফকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
Advertisement



