• facebook
  • twitter
Sunday, 18 May, 2025

আজ সুপার কাপে কেরলের সামনে সবুজ-মেরুন দল

একমাত্র বিদেশি খেলোয়াড় নুনো রেইসকে নেওয়া হয়েছে। সিনিয়র খেলোয়াড়রা এই দলে থাকলেও জুনিয়রদের উপরেই ভরসা করতে হবে মোহনবাগানকে।

প্রতীকী চিত্র

ভারত সেরা মোহনবাগান সুপারজায়ান্টস এবারে সুপার কাপ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যে শনিবার শেষ আটের খেলায় মুখোমুখি হচ্ছে কেরল ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে। কেরল দল আত্মবিশ্বাসে ভরপুর। ইতিমধ্যেই তারা ইস্টবেঙ্গলের মতো শক্তিশালী দলকে হারিয়েছে। তাই মোহনবাগানের বিরুদ্ধে তারা কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। তাই সবুজ-মেরুন ব্রিগেডের কোচ বাস্তব রায় অত্যন্ত সতর্ক প্রতিপক্ষ দলের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য। দলের প্রধান কোচ হোসে মোলিনা দেশে ফিরে গিয়েছেন। তাই সবুজ-মেরুন দলকে প্রশিক্ষণের দায়িত্ব পড়েছে বাস্তব রায়ের উপরে। স্বাভাবিকভাবে তাঁর উপরেও বড় চাপ এসেছে। আইএসএল ফুটবলে দ্বিমুকুট হওয়ার পরে সিনিয়র ফুটবলারদের ছুটি দেওয়া হয়েছে। সেই জায়গায় একঝাঁক জুনিয়র খেলোয়াড়দের নিয়ে দল গঠন করেছেন কোচ।

একমাত্র বিদেশি খেলোয়াড় নুনো রেইসকে নেওয়া হয়েছে। সিনিয়র খেলোয়াড়রা এই দলে থাকলেও জুনিয়রদের উপরেই ভরসা করতে হবে মোহনবাগানকে। আবদুল সামাদ, আশিক কুরুনিয়ন ও গ্লেন মার্টিন্স এই দলে রয়েছেন। তাই কোচ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, জুনিয়রদের সঙ্গে সমন্বয় তৈরি করে দল গঠন করা হবে। তিনি নিজেও ভালো করে জানেন, কেরল অত্যন্ত ভালো দল। তাঁদের বিরুদ্ধে লড়াইটা বেশ কঠিন হবে। তবে দলে চোট-আঘাতের খবর সেইভাবে নেই। কোচ বাস্তব রায় মনে করেন, দলের সব ফুটবলার অত্যন্ত সচেতন। ভালো খেলার জন্য তাঁরা তৈরি রয়েছেন। কোচ মনে করেন দলের প্রত্যেক খেলোয়াড়রা এবারে সুপার কাপ জেতার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সেই কারণেই কেরেলের বিরুদ্ধে খেলাটা বলতেই হবে হাইভোল্টেজ ম্যাচ।

অন্যদিকে কেরল ব্লাস্টার্সের কাছেও বড় স্বপ্ন এবারে সুপার কাপ জেতা। সেই কারণে আত্মবিশ্বাসী ফুটবলাররা আক্রমণাত্মক কৌশলে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে লড়াই করতে চাইবেন। মোহনবাগানে জুনিয়র ফুটবলারদেরই প্রাধান্য বেশি। সেই সুযোগে কেরল দল আরও বেশি আক্রমণাত্মক ভূমিকা নিয়ে খেলবে বলে ছক কষছে। কেরলের ফুটবলাররা পাল্টা আক্রমণে অনেক সময় খেলার চরিত্র বদল করে দিতে জানেন। তাই প্রতিপক্ষ মোহনবাগানকেও সতর্ক থাকতে হবে সেই আক্রমণকে কীভাবে প্রতিহত করা যায়। কেরলের সবচেয়ে বড় ভরসার নাম নোয়া সাদাউদ। তাঁর পায়ে ভালো কাজ আছে। গোল করতেও ওস্তাদ। তাই কোনওভাবেই নোয়াকে ছেড়ে খেলা যাবে না। সুযোগসন্ধানী নোয়া সবসময়ই গোলবক্সের মধ্যে ঘোরাফেরা করেন। মোহনবাগানের অধিনায়ক দীপক টাংরিদের বড় দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হবে জয়ের লক্ষ্যে।