• facebook
  • twitter
Thursday, 15 May, 2025

তরুণ ফুটবলাররাই শেষ চারে নিয়ে গেলেন মোহনবাগানকে

দ্বিতীয়ার্ধে আসিক কুরনিয়ন এবং দীপকরা যেভাবে আক্রমণে ঝাঁঝ তুলেছিলেন, তাতে কেরলের রক্ষণভাগের ফুটবলাররা এলোমেলো হয়ে যান।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

মোহনবাগান সুপার জায়ান্টসের জয়ের রথ এখনও ছুটছে। সুপার কাপ ফুটবলে তরুণ ফুটবলারদের নিয়ে গড়া সবুজ-মেরুন ব্রিগেড শনিবার মুখোমুখি হয়েছিল কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে কেরল ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে। মোহনবাগান ২-১ গোলে কেরল ব্লাস্টার্সকে হারিয়ে শেষ চারে খেলার ছাড়পত্র তুলে নিল। গত বারের চ্যাম্পিয়ন ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে কেরল দল আত্মবিশ্বাসী হয়ে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে লড়াই করতে নেমেছিল। কেরলের কোচ ভেবেছিলেন প্রতিপক্ষ মোহনবাগান দলের সেই অর্থে তারকা কোনও বিদেশি ফুটবলার নেই এবং সিনিয়রদের মধ্যে বেশির ভাগ খেলোয়াড়রাই ছুটিতে রয়েছেন। তাই সেইভাবে দল গঠন করতে পারবে না মোহনবাগান। কিন্তু মোহনবাগানের ফুটবলাররা অত্যন্ত প্রত্যয় নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন কেরলের বিরুদ্ধে। আক্রমণের ঝড় শুরু থেকেই তুলেছিলেন সাহাল আবদুল সামাদ ও দীপক টাংরিরা। তাঁরা কখনওই বুঝতে দেননি জুনিয়র ফুটবলারদের নিয়ে চ্যালেঞ্জ নিয়েছে কেরলের বিরুদ্ধে।

আসলে প্রাণশক্তি বলতে যা বোঝায় তা কিন্তু নতুন কোচ বাস্তব রায় খেলোয়াড়দের কাছে প্রস্তাবনা করেছিলেন। তিনি কৌশলগতভাবে এবং কীভাবে ছন্দে প্রতিপক্ষ দলকে ব্যস্ত রাখতে হবে, তার পরিকল্পনা তৈরি করে দিয়েছিলেন। কেউই ভাবতে পারেননি মোহনবাগানের এই সংগ্রামী মনোভাব মাঠে দেখতে পাওয়া যাবে। তাঁরা সহজেই হার স্বীকার করতে জানেন না। মোহনবাগান প্রথমার্ধে সাহাল আবদুল সামাদের গোলে এগিয়ে যায়। স্বাভাবিকভাবে এগিয়ে থাকা মোহনবাগান কোনও সময়ের জন্য আক্রমণ থেকে দূরে থাকেননি। তবে শুরুটা কেরল আক্রমণের চেষ্টা করলেও মোহনবাগানের রক্ষণে সেইভাবে চাপ সৃষ্টি করতে পারেনি। সেই অবসরে ২২ মিনিটের মাথায় সাহাল আবদুল সামাদ গোল করে খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেন। বলটি বাড়িয়েছিলেন সালাউদ্দিন। সামাদ বল পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কেরলের রক্ষণভাগের একজন ডিফেন্ডারকে যেভাবে চোখের নিমেষে ফাঁকি দিয়ে গোলে শট নিলেন, তা অবশ্যই প্রশংসা করার মতো। কেরলের সবচেয়ে ভরসা বলতে নোয়া সাদুইকে একেবারে অকেজো করে রেখে দেন মোহনবাগানের মাঝমাঠের ফুটবলাররা। সেই অর্থে এদিন নোয়াকে খুঁজেই পাওয়া যায়নি। দু-একবার ঝলক দিলেও কোনও কাজে আসেনি।

দ্বিতীয়ার্ধে আসিক কুরনিয়ন এবং দীপকরা যেভাবে আক্রমণে ঝাঁঝ তুলেছিলেন, তাতে কেরলের রক্ষণভাগের ফুটবলাররা এলোমেলো হয়ে যান। মোহনবাগানের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন সুহেল ভাট। মোহনবাগান দুই গোলে এগিয়ে থাকার পরে কিছুটা হালকা চালে খেলতে থাকে। যখন নোয়া বল ধরে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন, তখনই ডবল কভার করে সেই আক্রমণ রুখে দিয়েছেন মোহনবাগানের ফুটবলাররা। মোহনবাগানের খেলোয়াড়দের অদম্য জেদ কথা বলেছে এদিনের খেলায়। একেবারে খেলার শেষ মুহূর্তে কেরলের শ্রীকুট্টান গোল করে ব্যবধান কমান।