আগামী শনিবার সুপার কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে কেরল ব্লাস্টার্সের সঙ্গে খেলতে নামছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস। এই টুর্নামেন্টে কোচ বাস্তব রায়ের প্রশিক্ষণে মোহনবাগানের জুনিয়র ফুটবলাররা বেশি জায়গা পাবেন। বিদেশি খেলোয়াড় হিসেবে একজনকেই দলে রাখা হয়েছে। তিনি হোলেন নুন রেইজ। তিনি অবশ্য আইএসএল ফুটবলে খেলার সুযোগ পাননি। তাই সুপার কাপে তাঁকে রেখে দেওয়া হয়েছে। সুপার কাপের প্রথম ম্যাচেই কেরল দল জয় তুলে নিয়েছে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে। সেই কারণেই তাদের আত্মবিশ্বাস এখন তুঙ্গে রয়েছে। বিশেষ করে নোয়া সাদিউর দারুণ ফর্মে রয়েছেন। সেই কারণে কোচ বাস্তব রায় চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন তাঁকে কীভাবে রোখা যায়, সেই বিষয়ে। কেরল দলের আক্রমণ কীভাবে প্রতিরোধ করতে হবে, নিশ্চয়ই সবুজ-মেরুন কোচ তার একটা গোপন ছক তৈরি করে নেবেন। মোহনবাগানের অধিনায়কের ব্যাটনটা তুলে দেওয়া হয়েছে দীপক টাংরির হাতে।
নোয়াকে রোখার প্রধান দায়িত্ব থাকছে দীপক টাংরি অথবা গ্লেন মার্টিন্সের ওপর। পাশাপাশি, অনুশীলনে উইং প্লে’র ওপরও বিশেষ জোর দিতে দেখা গেল বাস্তব রায়কে। একইসঙ্গে সেটপিসের ওপরও বিশেষ নজর দিতে দেখা গেল তাঁকে। এদিন, মূলত সিচুয়েশন প্র্যাকটিস সারেন তাঁরা। অন্যদিকে দীর্ঘদিনের চোট সারিয়ে মূল দলের সঙ্গে পুরোদমে অনুশীলন করলেন গ্লেন মার্টিন্স। ফলে, সুপার কাপে তাঁর মাঠে নামার সম্ভবনা আরও বাড়লো। তবে তাঁকে নিয়ে এখনই তাড়াহুড়ো করতে রাজি নন কোচ। বরং সুপার কাপের জন্য তিনি আস্থা রাখতে চান তরুণ ব্রিগেডের ওপরই। আগামী বৃহস্পতিবার সুপার কাপ খেলতে ভুবনেশ্বর যাচ্ছে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। এক্ষেত্রে, ভাবনায় সামাদ ও আশিক কুরুনিয়ান থাকলেও শেষমেষ ভরসা রাখা হল অভিজ্ঞ টাংরির ওপরই। এখন দেখা যাক, টাংরির নেতৃত্বে মেরিনার্সরা পরবর্তী রাউন্ডের যোগ্যতা অর্জন করতে পারে কি না?
এদিকে অনুশীলনের সময় দেখতে পাওয়া গেল মোহনবাগানের ডেভেলপমেন্ট লিগের কোচ ডেগি কার্ডোজোকে। তিনি বিশেষ করে তরুণ ফুটবলারদের উপরে নজর রেখেছিলেন। আলাদা করে তাঁদের বেশকিছুক্ষণ সময় অনুশীলন করালেন। এখন দেখার বিষয় আইএসএল ফুটবলে মোহনবাগান দল ধারাবাহিকভাবে যে সাফল্য পেয়েছে, সেই সাফল্য সুপার কাপে ধরে রাখতে পারবে কিনা।