• facebook
  • twitter
Saturday, 17 May, 2025

পহেলগাম কাণ্ডের প্রতিবাদে মুখর কলকাতার তিন প্রধান

ময়দানের দুই বহু পরিচিত মুখ মেহরাজউদ্দিন ও ইসফাক। দুই ফুটবলারই তিন প্রধানে খেলেছেন। ইসফাক এই মুহূর্তে কাশ্মীরেই রয়েছেন।

ফাইল চিত্র

ভূস্বর্গ কাশ্মীরে নারকীয় হত্যাকাণ্ডে ২৬ জন পর্যটক নিহত হয়েছেন। এই তালিকায় বাংলার তিন পর্যটক রয়েছেন। কলকাতার বৈষ্ণবঘাটা এলাকার বিতান অধিকারী, বেহালার সখেরবাজারের সমীর গুহ এবং পুরুলিয়ার বাসিন্দা মনীশ রঞ্জন প্রাণ হারিয়েছেন। এই তিন পরিবারের সদস্যরা কাশ্মীরে বেড়াতে গিয়েছিলেন। প্রয়াত পর্যটকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের পক্ষ থেকে গভীরভাবে শোক জ্ঞাপন করা হয়েছে।

ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই ঘটনাকে আমরা তীব্র নিন্দা করছি। পহেলগামের নিরপরাধ জনগণের যেভাবে ভয়ঙ্কর হত্যালীলা চালানো হয়েছে, তাতে আমরা শোকস্তব্ধ। এই কঠিন সময়ে আমরা পরিবারের পাশে রয়েছি। মানবতায় কোনওরকম হিংসা জায়গা পায় না। আশা করব শীঘ্রই কাশ্মীরে শান্তি বিরাজ করবে এবং সুবিচার আসবে। অন্যদিকে মোহনবাগান ক্লাবের পক্ষ থেকে নিহত পর্যটকদের প্রতি শোক জ্ঞাপন করা হয়। বলা হয়েছে, নিহতদের পরিবারের পাশে আমরা অবশ্যই থাকব। আহত পর্যটকদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করি। মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাবের পক্ষ থেকেও শোক জ্ঞাপন করা হয়েছে নিহত পর্যটকদের প্রতি।

মঙ্গলবার পহেলগামে জঙ্গি আক্রমণের ঘটনার প্রতিবাদে মুখর দেশবাসী। ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন ক্রীড়াবিদরাও। এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন দুই কাশ্মীরবাসী ফুটবলার মেহরাজউদ্দিন ওয়াড্ডু এবং ইসফাক আহমেদ। প্রতিবাদ জানিয়েছেন ভারতের জাতীয় দলের অধিনায়ক সুনীল ছেত্রীও।

ময়দানের দুই বহু পরিচিত মুখ মেহরাজউদ্দিন ও ইসফাক। দুই ফুটবলারই তিন প্রধানে খেলেছেন। ইসফাক এই মুহূর্তে কাশ্মীরেই রয়েছেন। সেখান থেকে তিনি জানিয়েছেন, ‘জম্মু ও কাশ্মীরের ইতিহাসে এটি একটি দুঃখজনক ঘটনা। অতীতেও এখানে জঙ্গিহানার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু নিরীহ মানুষদের উপর এই আক্রমণ কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। কাশ্মীরের ইতিহাসের ‘কালো দিন’।

এই জঙ্গি আক্রমণের বিরুদ্ধে পুরো কাশ্মীর একজোট। আসলে এই আঘাত সুপরিকল্পিত। কাশ্মীরের পর্যটন ব্যবস্থায় আঘাত এনে অর্থনীতিতে পঙ্গু করে দেওয়াই এদের আসল লক্ষ্য। আমরা সকলে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাই জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে।’ ভারতের ফুটবল দলের অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী বলেন, ‘পহেলগাঁওয়ের ঘটনা শুনে আমি মর্মাহত। এই কাপুরুষোচিত সন্ত্রাসবাদে যাঁরা বলি হয়েছেন, তাঁদের পরিবারের জন্য আমার সমবেদনা রইল।’