সোশাল মিডিয়ায় নিজেকে আইপিএস অফিসারের পরিচয় দিয়ে প্রতারণার অভিযোগ মালদহের বাসিন্দা হৃদয় দের বিরুদ্ধে। হৃদয় সেই পরিচয়ে রায়গঞ্জের এক তরুণীর সঙ্গে মাস দুয়েকের পরিচয় থেকে প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। দু’মাসের সম্পর্কে মন্দিরে গিয়ে বিয়েও করেন তাঁরা। বিয়ের পর তাঁরা রায়গঞ্জ বীরনগর এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়া আসেন। মাস ছয়েকের মধ্যে স্বামীর কাজকর্ম ঘিরে সন্দেহ হয় নববধূর। মোহভঙ্গ হতেই স্বামীর সঙ্গে তুমুল বাগবিতণ্ডা বাঁধে তাঁর। শেষে পর্দাফাঁস হয় স্বামীর। প্রতিবাদ করতেই বধূর উপর নৃশংস নির্যাতন চালায় হৃদয়। তারপর জানা যায়, আইপিএস তো দুরস্ত কোনও সরকারি আধিকারিক নন হৃদয়। এরপরই পুলিসের দ্বারস্থ হন হৃদয়রের স্ত্রী।
বধূর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ভুয়ো আইপিএস হৃদয়কে গ্রেপ্তার করে পুলিস। পুলিস সূত্রে খবর, ধৃতের কাছ থেকে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের ১৪টি এটিএম কার্ড উদ্ধার করে পুলিশ। বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীর উপর শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার করত বলে অভিযোগ। সারাদিন কোনও কাজে না গিয়ে বাড়িতেই থাকতেন ওই ব্যক্তি। বুধবার রাতে স্ত্রীকে ব্যাপক মারধর করে বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় মেয়ের আত্মীয়রা এসে বধূকে উদ্ধার করে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করে। রায়গঞ্জ পুলিশ সুপার সানা আখতার জানান, ‘ভুয়ো অফিসারকে অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।’
Advertisement
Advertisement
Advertisement



