রায়বেরলি ছেড়ে রাজ্যসভায় সোনিয়া, বুধবার মনোনয়ন পেশ

Written by SNS February 13, 2024 5:33 pm

দিল্লি, ১৩ ফেব্রুয়ারি– আমেঠির পর এবার রায়বেরলি৷ এবার উত্তর প্রদেশে গান্ধি পরিবারের আর এক আসন রায়বেরলিও হাতছাড়া হতে যাচ্ছে৷ কংগ্রেসের ২০১৯-এ রাহুল গান্ধি হেরে যাওয়ায় আমেঠি আগেই হাতছাড়া হয়েছে কংগ্রেস তথা গান্ধি পরিবারের৷ দীর্ঘদিন সেখানকার সাংসদ সোনিয়া গান্ধি৷ কিন্ত্ত আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন না সোনিয়া৷
হিমাচল প্রদেশের কংগ্রেস নেতৃত্ব তাদের রাজ্য থেকে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধিকে রাজ্যসভার সদস্য করতে চায়৷ তবে সোনিয়ার ব্যক্তিগত উচ্ছা রাজস্থান বলে জানা যাচ্ছে৷ রাজ্যসভায় মনোনয়ন পেশের শেষ দিন আগামী বৃহস্পতিবার৷ সোনিয়া বুধবার রাজস্থানের আসনের জন্য মনোনয়ন পেশ করতে পারেন৷
সোনিয়ার লোকসভায় প্রার্থী না হওয়ার সিদ্ধান্তের একমাত্র কারণ তাঁর শারীরিক অসুস্থতা, দাবি করেছে কংগ্রেস৷ যদিও দলের তরফে সরকারিভাবে তাঁর লোকসভায় প্রার্থী না হওয়া বা রাজ্যসভায় যাওয়ার বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি৷ তবে প্রিয়ঙ্কাকে রায়বেরলিতে লোকসভা ভোটেও প্রার্থী করা হতে পারে৷ আসলে মা ও দাদা’র হয়ে কাজ করার সুবাদে আমেঠি ও রায়বেরলিকে হাতের তালুর মতো চেনেন প্রিয়ঙ্কা৷ রায়বেরলির কংগ্রেস নেতৃত্ব এবার প্রিয়ঙ্কাকে সেখানে চাইছে৷ তবে কংগ্রেসের এই সাধারণ সম্পাদককে সংসদে পাঠানো হলে কর্ণাটক, তেলেঙ্গানার কোনও নিরাপদ আসনও বেছে নেওয়া হতে পারে৷ কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে নিজের রাজ্য কর্নাটকে হেরে যান৷ পরে দল তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠায়৷ তিনি এখন রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা৷

উত্তর প্রদেশের রায়বেরলি ও আমেঠির সঙ্গে গান্ধি পরিবারের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের৷ রায়বেরলির দীর্ঘদিনের সাংসদ ছিলেন ইন্দিরা গান্ধি৷ সোনিয়া রাজনীতিকে আসার পর ১৯৯৮-এর লোকসভা ভোটে শাশুডি়র আসনটি বেছে নেন৷ অন্যদিকে, আমেঠি ছিল রাজীবের আসন৷ ১৯৮৪ এবং ১৯৮৯—দু’বার সেখান থেকে জেতেন রাজীব৷ ২০০৪-এ বাবার আসনকেই বেছে নিয়েছিলেন রাহুল গান্ধি৷ কিন্ত্ত ২০১৯-এ তিনি আমেঠিতে হেরে যান৷ হারের সম্ভাবনা আঁচ করেই কেরলের ওয়ানার আসন থেকেও লড়াই করেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি৷ সেখান ছেকে জিতে সাংসদ তিনি৷