• facebook
  • twitter
Monday, 16 June, 2025

বিবাহিত মেয়ে তাঁর মায়ের দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতিপূরণ কি পাবে?

স্পষ্ট করছে শীর্ষ আদালত 

ফাইল চিত্র

বিয়ের পর একটা মেয়েকে বাপেরবাড়ির আইনি অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যায় না। কিন্তু বাপেরবাড়ির পরিবারের কেউ নিহত হলে সেক্ষেত্রে তাঁর আর্থিক ক্ষতিপূরণের দাবি কতটা যুক্তিযুক্ত তা এবার স্পষ্ট করেছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের পক্ষ থেকে দুর্ঘটনায় মায়ের মৃত্যুর পর ক্ষতিপূরণ দাবি করা মেয়ের আর্জি খারিজ করা হয়েছে। বিবাহিত মেয়ে স্বামীর ভরণপোষণের উপর নির্ভরশীল বলে ধরে নেওয়া হয়।  বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর আর সে বাপেরবাড়ির উপর নির্ভরশীল থাকে না। এই যুক্তির উপর ভিত্তি করে দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ক্ষতিপূরণের আবেদন নাকচ করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য অনুযায়ী, সমাজব্যবস্থার নিরিখে বিয়ের পর মেয়ে বাপেরবাড়ির সম্পত্তির অধিকারী হতে পারে এই যুক্তি মেনে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ধরে নেওয়া হয় সে আর্থিকভাবে স্বামী বা তার পরিবারের উপরও নির্ভরশীল। নচেৎ তাঁকে প্রমাণ করতে হয় সে স্বামী-শ্বশুরবাড়ি নয় বরং তাঁর বাবা-মা অর্থাৎ বাপেরবাড়ির উপর আর্থিকভাবে নির্ভরশীল। সম্প্রতি মঞ্জুরী বেরা বনাম ওরিয়েন্টাল ইন্সিওরেন্স কোম্পানির একটি মামলার প্রসঙ্গে, বিচারপতি সুধাংশু ঢুলিয়া এবং কে বিনোদ চন্দ্রনের বেঞ্চের দাবি, বিবাহিত মেয়েকে বাপেরবাড়ির আইনি অধিকারী বলে মান্যতা দেওয়া হয়। কিন্তু বাপেরবাড়ির কেউ নিহত হলে আর্থিক ক্ষতিপূরণের  দাবিদার হতে পারে না। সেক্ষেত্রে মেয়েটিকে প্রমাণ করতে হবে যে সে নিহতের উপর আর্থিকভাবে নির্ভরশীল ছিল।
এই মামলায়, মামলাকারী মেয়ের মা রাজস্থান রাজ্য পরিবহণের একটি বাসের ধাক্কায় নিহত হন। এক্ষেত্রে বাসটির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বিমার ৫৪.৩ লক্ষ টাকা দাবি করেন মৃতা মহিলার বিবাহিত মেয়ে। প্রাথমিকভাবে রাজস্থানের মোটর অ্যাকসিডেন্ট ক্লেমস ট্রাইব্যুনাল তাঁকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন । কিন্তু, হাইকোর্ট ক্ষতিপূরণের অর্থের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। তাঁদের দাবি, বিবাহিত মেয়ে যে বাপেরবাড়ির উপর আর্থিকভাবে নির্ভরশীল তা প্রমাণ করতে পারেননি। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন মৃতার বিবাহিত মেয়ে। সুপ্রিম কোর্ট এই প্রসঙ্গে তাঁদের বক্তব্য স্পষ্ট করেছে।