• facebook
  • twitter
Wednesday, 15 January, 2025

‘অলস’ তালিকায় গোটা দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত

প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের অর্ধেকই ‘আনফিট’, প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট দিল্লি, ২৭ জুন– ভারতীয়দের এমনিতেই একটু অলস বলে একটু দুর্নাম/সুনাম আছে৷ সেই দুর্নাম বা সুনামের যে ফল এবার সামনে এল তা কিন্তু মোটেই ভালো নয় আগামী দিনের জন্য৷ জানা গিয়েছে অর্ধেক ভারতীয়ই নাকি শারীরিক ভাবে আনফিট বা অচল৷ ঢাকঢোল পিটিয়ে এমনটাই জানিয়েছে ল্যানসেট গ্লোবাল হেল্থ জার্নাল৷ ল্যানসেটের চাঞ্চল্যকর

প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের অর্ধেকই ‘আনফিট’, প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট

দিল্লি, ২৭ জুন– ভারতীয়দের এমনিতেই একটু অলস বলে একটু দুর্নাম/সুনাম আছে৷ সেই দুর্নাম বা সুনামের যে ফল এবার সামনে এল তা কিন্তু মোটেই ভালো নয় আগামী দিনের জন্য৷ জানা গিয়েছে অর্ধেক ভারতীয়ই নাকি শারীরিক ভাবে আনফিট বা অচল৷ ঢাকঢোল পিটিয়ে এমনটাই জানিয়েছে ল্যানসেট গ্লোবাল হেল্থ জার্নাল৷ ল্যানসেটের চাঞ্চল্যকর সমীক্ষার রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতের প্রাপ্ত বয়স্ক নাগরিকদের অর্ধেক শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ নন৷ ল্যানসেটের আরও দাবি, ভারতের অধিকাংশ মহিলা কায়িক পরিশ্রম থেকে দূরে থাকেন৷ এর ফলে তাঁদের শারীরিক অক্ষমতা ক্রমশ বাড়ছে৷

ল্যানসেট ২০২২ সাল অবধি একটি সমীক্ষা চালিয়ে তার এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ৷ যেখানে বলা হয়েছে, পুরুষ নারী নির্বিশেষে ভারতের ৫০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক শারীরিকভাবে ‘অক্ষম’৷ অন্যদিকে ৫৭ শতাংশ ভারতীয় মহিলা প্রয়োজন অনুযায়ী শারীরিক পরিশ্রম থেকে অনেকটা দুরে৷ ‘অলসতায়’ সামান্য ভালো ফল করেছেন পুরুষরা (৪২ শতাংশ)৷ অর্থাৎ কায়িক পরিশ্রমের নিরিখে ১৪ শতাংশ এগিয়ে ভারতীয় পুরুষরা৷ ‘অলস’ তালিকায় গোটা দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত৷ এশিয়ার প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরেই রয়েছে ভারত৷ এই বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও সহমত৷

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের দাবি, কায়িক পরিশ্রম না করার ফলে অসুখের বাড়বাড়ন্ত হচ্ছে৷ বিশেষত এর ফলে হূদযন্ত্রের অসুখে, ডায়বেটিসে আক্রান্ত হচ্ছেন কোটি কোটি মানুষ৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থারও দাবি, কায়িক পরিশ্রম না করা, মানসিক চাপ এবং অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন আধুনিক যুগের সবচেয়ে বড় ‘মহামারী’৷ এর থেকে মুক্তি দিতে পারে বিনামূল্যের ওষুধ—শারীরিক পরিশ্রম৷

তবে যদি মেশিন নিয়ন্ত্রিত শহুরু সভ্যতার কথা বলা হয় তবে শুধু ভারত নয়, গোটা বিশ্বই এস অভ্যেসে অলস৷ পৃথিবীর প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ (৩১.৩) প্রয়োজন অনুযায়ী কায়িক পরিশ্রম করেন না৷ আধুনিক বিজ্ঞান বলছে, এক সপ্তাহে কমপক্ষে ১৫০ মিনিট মাঝারি পরিশ্রম করলে শরীর সুস্থ থাকে৷ অন্যদিকে এক সপ্তাহ কমপক্ষে ৭৫ মিনিট তীব্র শারীরিক পরিশ্রম জরুরি৷ কোনও পথেই পা বাড়ান না গোটা বিশ্বের এক তৃতীয়াংশ আর্বান মানুষ৷ রিপোর্টে জানা গিয়েছে, ২০১০ সালের তুলনায় পরিশ্রম করার প্রবণতা ৫ শতাংশেরও বেশি কমে গিয়েছে৷ ল্যানসেটের সমীক্ষা (২০০০-২০২২) বলছে, বিশ্বের ১৯৭টি দেশ এমন অসলতায় ভুগছে৷ ৬০ বছর কিংবা তার বেশি বয়সিরাও প্রয়োজন অনুযায়ী শারীরিক পরিশ্রম না করায় একাধিক শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন৷