• facebook
  • twitter
Tuesday, 12 August, 2025

কোলেস্টেরল কমাতে কী কী খাবেন

সঠিক খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। নিয়মিত ব্যায়াম, পর্যাপ্ত ঘুম এবং মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করাও গুরুত্বপূর্ণ।

বর্তমান সময়ে হাই কোলেস্টেরল একটি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি হৃদরোগ, স্ট্রোক সহ নানা জটিল রোগের কারণ হতে পারে। সঠিক খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলে কোলেস্টেরলের মাত্রা সহজেই নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম, পর্যাপ্ত ঘুম এবং মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ওটস বা যবের ভেতরে থাকা দ্রবণীয় ফাইভার কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিনের ব্রেকফাস্টে ওটস, বার্লি খেলে ভালো ফল পাওয়া যায়। আমন্ড, আখরোট, চিয়া সিডে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।

আপেল, কমলা, আঙুর, গাজর, বিটের মতো শাকসবজি ও ফলমূলে রয়েছে উচ্চমাত্রার পেকটিন, যা কোলেস্টেরল শোষণ কমাতে সাহায্য করে। সালমন, টুনা, ম্যাকেরেলের মতো মাছে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ওমেগা-৩। এই উপাদান রক্তের কোলেস্টেরল কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে। অলিভ অয়েল ও সূর্যমুখী তেলে থাকা মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।

গ্রিন টি-তে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট (বিশেষ করে ক্যাটেচিন) এলডিএল কোলেস্টেরল কমাতে সহায়তা করে। মুসুর, ছোলা, সয়াবিন ইত্যাদি প্রোটিন ও ফাইবার সমৃদ্ধ, যা চর্বিযুক্ত খাবারের পরিবর্তে স্বাস্থ্যকর বিকল্প হতে পারে। তবে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে কিছু খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। চর্বিযুক্ত লাল মাংস, ট্রান্স ফ্যাট (বেকড আইটেম, প্রসেসড স্ন্যাকস), অতিরিক্ত চিনি ও সাদা আটা, অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার (ফাস্ট ফুড, সসেজ, হটডগ) এড়িয়ে চলা ভালো।