দেশজুড়ে ৬ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। পশ্চিমবঙ্গে একদিনে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৭১ জন। তাঁদের মধ্যে দুই শিশুও রয়েছে। তাঁরা পিয়ারলেস হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি আছে। দেশজুড়ে একদিনে ৬ জন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে।
বর্তমানে ভারতে করোনার সক্রিয় কেসের সংখ্যা ৬ হাজার ১৩৩। দেশের মধ্যে একদিনে সবথেকে বেশি করোনা আক্রান্ত হয়েছে কেরলে। সংখ্যাটা ১৪৪। সে রাজ্যে বর্তমানে করোনা সক্রিয় কেসের সংখ্যা ১৯৫০। সক্রিয় কেসের নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে গুজরাত। আক্রান্তের সংখ্যা ৭১৭ জন থেকে বেড়ে হয়েছে ৮২২। একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ১০৫। তৃতীয় স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। রাজ্যে প্রায় ৭০০ ছুঁইছুঁই করোনা সক্রিয় কেসের সংখ্যা। চতুর্থ স্থানে রয়েছে দিল্লি। বর্তমানে মোট সক্রিয় কেসের সংখ্যা ৬৮৬। একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ২১ জন। পঞ্চম স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র। মোট সক্রিয় কেসের সংখ্যা ৫৯৫। একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ১৮ জন।
Advertisement
কলকাতায় যে দুই শিশু করোনা আক্রান্ত হয়েছে তাদের মধ্যে একজনের বয়স মাত্র তিন মাস, অন্যজনের বয়স ১ বছর। ৩ মাসের শিশুর হাইগ্রেড ফিভার ও সর্দি–কাশি রয়েছে। হাসপাতালে চেকআপ করতে এলে তার কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এক বছরের শিশুটিও একটানা জ্বর ও সর্দিতে ভুগছিল। তার করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। দুই জনেরই চিকিৎসা চলছে
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের রবিবারের তথ্য অনুযায়ী, দেশজুড়ে একদিনে মোট ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে কর্ণাটকে মৃত্যু হয়েছে দুই জনের। ৪৬ বছরের এক মহিলা ও ৭৮ বছরের এক বৃদ্ধ। মহিলার ফুসফুসের সংক্রমণ ছিল।
Advertisement
অন্যদিকে, মৃত বৃদ্ধ হার্টের সমস্যা ছাড়াও অন্য একাধিক সমস্যায় ভুগছিলেন। তাঁদের দুই জনেরই করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। কেরলে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তালিকায় রয়েছেন ৫১ বছরের এক ব্যক্তি, ৬৮ বছর ও ৯২ বছরের দুই বৃদ্ধ। ৫১ বছরের করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির ফুসফুস ও কিডনির সমস্যা ছিল। অবশেষে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। ৬৪ বছরের বৃদ্ধ নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ছিলেন। পরে করোনা পজিটিভ হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। ৯২ বছরের করোনা আক্রান্ত বৃদ্ধের হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে। তাঁর একাধিক শারীরিক সমস্যাও ছিল। তামিলনাড়ুতে এক ৪২ বছরের ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
Advertisement



