পহেলগাম ঘটনার ক্ষত এখনও শুকায়নি। মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে শুরু হয়েছে অমরনাথ যাত্রা। ৩৮ দিনের এই তীর্থযাত্রায় কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না নিরাপত্তা বাহিনী। তীর্থযাত্রীদের যাত্রাপথে নজরদারি এবং সুরক্ষিত করতে নতুন প্রযুক্তির সহায়তা অবলম্বন করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। চালু করা হয়েছে ৫০টি অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেম। সম্ভাব্য আকাশ আক্রমণের প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য এই বৈদ্যুতিন যুদ্ধ সরঞ্জাম মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল পহেলগামে পাক জঙ্গিরা ২৬জন পর্যটককে নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল। সেই প্রেক্ষিতে বেসামরিক প্রশাসন এবং কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে নিবিড় সমন্বয় রাখতে ভারতীয় সেনাবাহিনী ‘অপারেশন শিব ২০২৫’ নামে এই প্রতিরক্ষা অভিযান চালু করেছে। এই বার্ষিক নিরাপত্তা অভিযান হল দেশের অন্যতম সেরা শান্তিরক্ষা ব্যবস্থা। ভারতের প্রতিরক্ষা বিভাগের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর পাকিস্তান-সমর্থিত সন্ত্রাসীদের ক্রমবর্ধমান হুমকির মুখে আগাম সতর্কতা হিসেবে এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রতিনিয়ত ইউএভি মিশন এবং লাইভ ড্রোনের মাধ্যমে যাত্রাপথ এবং পবিত্র গুহা উভয়ের উপর নজরদারি চালাতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই যাত্রাপথে ভারতীয় সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার সর্বদা মোতায়েন করা থাকবে, যাতে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জরুরি পরিষেবা দেওয়া যায়।
জানা গিয়েছে, এই বছরে অমরনাথ যাত্রায় ৮,৫০০-এরও বেশি সৈন্য মোতায়েন করা হয়েছে, যাদের সঙ্গে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, শক্তিশালী লজিস্টিক সহায়তা এবং রিয়েল-টাইম গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা রয়েছে। এই নিরাপত্তা বলয়টি পহেলগাম এবং বাল্টাল উভয় তীর্থযাত্রা রুট জুড়ে বিস্তৃত। প্রতিরোধমূলক মোতায়েন, সন্ত্রাসবিরোধী ব্যবস্থা এবং ব্যাপক দুর্যোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার মতো ঝুঁকিপূর্ণ করিডোরগুলিকে মজবুত করতেই এই উদ্যোগ।