• facebook
  • twitter
Tuesday, 19 August, 2025

কাশ্মীরের বাসিন্দাদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিচ্ছে বিএসএফ, এবার পাক সীমান্ত কি আরও বড় কোনও পদক্ষেপ?

গ্রামবাসীদের মৌলিক আগ্নেয়াস্ত্র দক্ষতা ও অন্যান্য আত্মরক্ষার কৌশল শেখানো হয়েছে, যাতে তারা যেকোনও জরুরি পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত না হয়ে শান্ত মাথায় মোকাবিলা করতে পারে।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

পাক সীমান্তে আরও বড় কোনও পদক্ষেপ নিতে চলেছে ভারত। সেই উদ্দেশ্যে এবার জম্মু ও কাশ্মীরের সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাসকারী গ্রামবাসীদের যেকোনও জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। শেখানো হচ্ছে অস্ত্র চালনা ও আত্মরক্ষার কৌশল। এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে ভিলেজ ডিভেন্স গার্ড বা গ্রামরক্ষী বাহিনীর আওতায়। এই প্রশিক্ষণ অভিযান জাতীয় নিরাপত্তায় নাগরিকদের অংশগ্রহণের একটি মডেল হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করে বিএসএফ।

গত ২২ এপ্রিল পহেলগামে হামলা চালায় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। নৃশংস সেই হামলায় ২৬ জন নিরীহ ভারতীয়ের মৃত্যু হয়। এরপরই ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে একাধিক সামরিক পদক্ষেপ। গত ৭ মে মধ্যরাতে ড্রোন হামলায় গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানে অবস্থিত ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি। মৃত্যু হয়েছে শতাধিক জঙ্গির। সেই ড্রোন হামলার পাল্টা বদলা নিতে পাকিস্তান ভারতের একাধিক জায়গা লক্ষ্য করে হামলা চালালে তা প্রতিহত করে যোগ্য জবাব দেয় ভারতীয় সেনাবাহিনী। ভারতের বায়ুসেনা  ও নৌবাহিনীর আক্রমণে ধরাশায়ী হয় পাকিস্তান।

কিন্তু চার দিনের এই যুদ্ধে ভারত সফলতা পেলেও পাকিস্তানের অনৈতিক আক্রমণে জম্মু ও কাশ্মীরের সীমান্তবর্তী গ্রামে একাধিক সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়। মৃতদের মধ্যে ছিল বেশ কিছু নারী ও শিশু। ফলে ফের হামলা চালালে, ভারত যাতে তা যথাযথভাবে মোকাবিলা করতে পারে, সেজন্য কাশ্মীর উপত্যকার মানুষকে এই আত্মরক্ষার কৌশল শেখাচ্ছে বিএসএফ।  দেওয়া হচ্ছে অস্ত্র প্রশিক্ষণ। সেই সঙ্গে ড্রোন ব্যবহার করে চোরাচালান, অনুপ্রবেশ ও অবৈধ অস্ত্র চলাচল বন্ধের মতো প্রশাসনিক কাজে  সহায়তার জন্য বিএসএফ-কে যাতে যোগ্য সঙ্গত দিতে পারে, সেজন্যই এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

গ্রামবাসীদের মৌলিক আগ্নেয়াস্ত্র দক্ষতা ও অন্যান্য আত্মরক্ষার কৌশল শেখানো হয়েছে, যাতে তারা যেকোনও জরুরি পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত না হয়ে শান্ত মাথায় মোকাবিলা করতে পারে। উপত্যকার বিভিন্ন বিএসএফ পোস্টে এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হচ্ছে।

বিএসএফ কিছু এলাকায় নারী ও কিশোরীদের বিশেষ আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছে। বিএসএফ-এর পদস্থ আধিকারিকের কথায়, ‘অনেক সীমান্তবর্তী গ্রামে তরুণদের উৎসাহ দেখা যাচ্ছে।’ বিএসএফ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ড্রোন ব্যবহার করে অস্ত্র ও অন্যান্য জিনিসপত্র পাচার বন্ধে সতর্ক সাধারণ নাগরিকরা প্রথম প্রতিরক্ষা বাহিনীতে পরিণত হতে পারেন। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে, গ্রামবাসীদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি  এবং তাঁরা  আধাসামরিক বাহিনীর সঙ্গে তথ্য ভাগাভাগি করার ক্ষেত্রে আরও সক্রিয় হয়ে উঠবে বলে বিএসএফ আশা করেছে।