পহেলগামে জঙ্গি হামলার পর থেকেই জম্মু-কাশ্মীরে তল্লাশি জোরদার করেছে সেনা এবং পুলিশ। মাঝেমধ্যেই জঙ্গিদের খতম করছে বাহিনী। একই সঙ্গে তল্লাশি অভিযানও চালানো হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় সেনা এবং সিআরপিএফের যৌথ অভিযানে উপত্যকা থেকে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা জঙ্গিদের সহযোগী বলে অভিযোগ উঠেছে। ধৃতদের কাছ থেকে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। মিলেছে পিস্তল, গ্রেনেডের মতো অস্ত্র। এছাড়া তিনটি মোবাইল ফোনও তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে।
সোপিয়ান জেলা পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম জাহিদ আহমেদ এবং আনোয়ার খান। জাহিদের বাড়ি ডিকে পোরা এলাকায়। আনোয়ারের বাড়ি কাথওয়া এলাকায়। তাঁদের ইমাম সাহাব থানায় টানা জেরা করা শুরু হয়েছে বলে সোপিয়ান জেলার পুলিশ জানিয়েছে। কোন জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের সাহায্য করার জন্য কে বা কারা তাঁদের নিয়োগ করেছে, তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।
জম্মু ও কাশ্মীরের সোপিয়ানের ডিকে পোরা এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছিল ভারতীয় সেনার ৩৪ রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের বিশেষ দল। এরপর জঙ্গিদের উপস্থিতির খবর পেয়ে ওই এলাকা ঘিরে ফেলে বাহিনী। সেই সময় অস্ত্রশস্ত্র সহ দু’জন ধরে পড়েন। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে দু’টি পিস্তল, ৪৩টি গুলি, চারটি গ্রেনেড। এছাড়াও বেশ কিছু বেআইনি জিনিস মিলেছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জঙ্গিদের গোপন ডেরার খোঁজ মিলতে পারে বলেও তদন্তকারীদের অনুমান।
সূত্রের খবর, ধৃতদের কাছ থেকে যে দুটি পিস্তল ও কার্তুজ মিলেছে তা বিদেশে তৈরি। কী ভাবে তাঁরা ওই পিস্তল, গ্রেনেড, কার্তুজ পেলেন এবং কোথায় হামলা চালানোর জন্য ওই অস্ত্র জোগাড় করা হয়েছিল, তা জানার চেষ্টা চলছে। পহেলগাম হামলার পরে ১৪ জন জঙ্গি জম্মু-কাশ্মীরে সক্রিয় বলে সেনাবাহিনীর গোয়েন্দারা খবর পান। ইতিমধ্যেই তাঁদের মধ্যে ৬ জনকে নিকেশ করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে জোরদার তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ ও সেনাবাহিনী।