• facebook
  • twitter
Saturday, 2 August, 2025

আপৎকালীন পরিস্থিতির মোকাবিলায় ফের সীমান্তবর্তী চার রাজ্যে অসামরিক মহড়া

অনেকের মনে কৌতূহল তৈরি হয়েছে, দুই দেশের মধ্যে সেই সংঘর্ষ ও উত্তেজনা তো অনেকটাই থেমে গিয়েছে, তাহলে নতুন করে ফের অসামরিক মহড়া কেন?

ফাইল চিত্র

‘অপারেশন সিঁদুর’-এর রেশ কাটতে না কাটতেই ফের অসামরিক মহড়া শুরু হতে চলেছে দেশের চার রাজ্যে। গুজরাত, রাজস্থান, জম্মু-কাশ্মীর ও পাঞ্জাবে মক ড্রিল হতে চলেছে বৃহস্পতিবার। ভারত-পাক কূটনৈতিক চাপানউতরের আবহে এদিন সন্ধ্যায় এই চার রাজ্যে নিরাপত্তা সংক্রান্ত ‘মক ড্রিল’ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেহেতু এই চার রাজ্যই পাকিস্তানের সীমান্ত লাগোয়া, সেজন্য নতুন করে এই অসামরিক মহড়া নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে।

পহেলগাম হত্যাকাণ্ডের পর ৭ মে দেশের ২৪৪টি জেলায় অসামরিক মহড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যুদ্ধের সময়ে কী কী করণীয়, কীভাবে আত্মরক্ষা করতে হবে, তার প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা ছিল সেই ‘মক ড্রিল’-এ। এর আগে ১৯৭১ সালের ভারত-পাক যুদ্ধের পর সারা দেশ জুড়ে এই ধরনের নাগরিক সুরক্ষার মহড়া হয়েছিল। তারপর আর দেশে এই ধরনের মহড়া হয়নি। যদিও এবার ৭ তারিখের ‘মক ড্রিল’-এর আগেই ৬ মে মধ্যরাতেই পাকিস্তানে প্রত্যাঘাত হানে ভারত। ড্রোন হামলায় গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি। তাতে শতাধিক জঙ্গির মৃত্য হয়েছে বলে দাবি করে ভারতীয় সেনাবাহিনী। এরপর পাকিস্তান পাল্টা হামলা চালাতেই দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পাক বায়ুসেনার প্রতিটি হামলা প্রতিহত করে ভারতের বায়ুসেনা ও নৌসেনা বাহিনী পাকিস্তানকে নাস্তানাবুদ করে ছেড়ে দেয়। টানা চারদিন সামরিক সংঘর্ষের শেষে গত ১০ মে যুদ্ধ বিরতিতে সম্মত হয় দুই দেশ।

কিন্তু অনেকের মনে কৌতূহল তৈরি হয়েছে, দুই দেশের মধ্যে সেই সংঘর্ষ ও উত্তেজনা তো অনেকটাই থেমে গিয়েছে, তাহলে নতুন করে ফের অসামরিক মহড়া কেন? এর পিছনে কি সরকারের অন্য কোনও উদ্দেশ্য লুকিয়ে রয়েছে? এ বিষয়ে জানা গিয়েছে, শুধু সামরিক সংঘর্ষ নয়, নাগরিক সুরক্ষা মহড়া বা ‘মক ড্রিল’ যে কোনও বিপর্যয়ের মোকাবিলার উদ্দেশ্যেই আয়োজন করা যায়। সেটি শুধু সামরিক না হয়ে ভূমিকম্প, বন্যা, রাসায়নিক বিপর্যয়, সন্ত্রাসবাদী হামলার ক্ষেত্রেও সাধারণ মানুষকে সতর্ক করার উদ্দেশ্যেও করা হতে পারে।

এদিকে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের আপাতত সামরিক সংঘর্ষ থেমে গেলেও দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের এখনও তেমন কোনও উন্নতি হয়নি। ফের যে আবার সম্পর্কের অবনতি হবে না, এমন কোনও নিশ্চয়তা নেই। কারণ, ঐতিহাসিক খতিয়ান বলছে, পাকিস্তান ভারতের কাছে বিশ্বাসযোগ্যতার জায়গায় নেই। যেকোনও মুহূর্তে পহেলগামের মতো পাক সেনা ও জঙ্গিদের তরফ থেকে অমানবিকতা ও বিশ্বাসঘাতক মানসিকতার প্রতিফলন ঘটতে পারে। তাছাড়া ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সময় পাক ড্রোন হামলা ও ব্ল্যাকআউটের জেরে এই চার রাজ্যে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। সার্বিক দিক বিবেচনা করে পাক সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলিকে যে কোনও পরিস্থিতির জন্য তৈরি রাখতেই নতুন করে এই মহড়ার আয়োজন করা হয়েছে।