দেশের ভুয়ো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির তালিকা প্রকাশ করলো ইউজিসি, পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে ২টি

ইউজিসি বুধবার দেশের ২৪ টি স্বঘােষিত, স্বীকৃতিহীন প্রতিষ্ঠানের তালিকা ঘােষণা করল। এগুলি ভুয়াে আখ্যা দেওয়া হয়েছে । বেশিরভাগই রয়েছে উত্তরপ্রদেশ ও দিল্লিতে।

Written by SNS Delhi | October 9, 2020 2:49 pm

ইউজিসি বা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বুধবার দেশের ২৪ টি স্বঘােষিত, স্বীকৃতিহীন প্রতিষ্ঠানের তালিকা ঘােষণা করল। এগুলি ভুয়াে আখ্যা দেওয়া হয়েছে । এর মধ্যে বেশিরভাগই রয়েছে উত্তরপ্রদেশ ও দিল্লিতে।

এ বিষয়ে ইউজিসির সচিব রজনীশ জৈন বলেন, পড়ুয়া সহ সাধারণ মানুষকে জানানাে যাচ্ছে যে, দেশে এখন ২৪ টি স্বঘােষিত ও স্বীকৃতিহীন প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেগুলি ইউজিসি- র নিয়মের বিরুদ্ধে পরিচালিত হচ্ছে যেগুলি ভুয়াে বিশ্ববিদ্যালয় আখ্যা দেওয়া হয়েছে এবং এগুলির কোনও ডিগ্রি প্রদানের অধিকার নেই।

এগুলির মধ্যে রয়েছে বারাণসীর সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়, মহিলা গ্রাম বিদ্যাপীঠ ( ইলাহাবাদ ), গাঁধী হিন্দি বিদ্যাপীঠ ( ইলাহাবাদ ), ন্যাশনাল ইলেকট্রো কমপ্লেক্স হােমিওপ্যাথি ( কানপুর ), নেতাজি সুভাষচন্দ্র বােস ওপেন ইউনিভার্সিটি ( আলিগড় ), উত্তরপ্রদেশ বিশ্ববিদ্যালয় ( মথুরা ), মহারানা প্রতাপ শিক্ষা নিকেতন বিশ্ববিদ্যালয় ( প্রতাপগড় ) ও ইন্দ্রপ্রস্থ শিক্ষা পরিষদ ( নয়ডা )।

দিল্লিতে এ ধরনের সাতটি ভুয়াে বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এগুলির মধ্যে রয়েছে, কমার্শিয়াল ইউনিভার্সিটি লিমিটেড, ইউনাইটেড নেশনস ইউনিভার্সিটি, ইন্ডিয়ান ইন্সস্টিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, বিশ্বকর্মা ওপেন ইউনিভার্সিটি ফর সেলফ এমপ্লয়মেন্ট ও আধ্যাত্মিক বিশ্ববিদ্যালয়।

আর ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গে এ ধরনের দুটি প্রতিষ্ঠান হল ইন্ডিয়ান ইন্সস্টিটিউট অফ অল্টারনেটিভ মেডিসিন ( কলকাতা ), ইন্সস্টিটিউট অফ অল্টারনেটিভ মেডিসিন অ্যান্ড রিসার্চ ( কলকাতা ), নবভারত শিক্ষা পরিষদ ( রউরকেল্লা ) ও নর্থ ওড়িশা ইউনিভার্সিটি অফ এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনােলজি।

কর্ণটিক, কেরল, মহারাষ্ট্র, পুদুচেরি ও মহারাষ্ট্রে একটি করে ভুয়াে বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এগুলি হল — শ্ৰী বােধি অ্যাকাডেমি অফ হায়ার এডুকেশন ( পুদুচেরি ), ক্রাইস্ট নিউ টেস্টামেন্ট উীমড ইউনিভার্সিটি ( অন্ধ্রপ্রদেশ ), রাজা অরবিক বিশ্ববিদ্যালয় ( নাগপুর ), সেন্ট জন ইউনিভার্সিটি ( কেরল ) এবং বাদগনবী সরকার ওয়ার্ল্ড ওপেন ইউনিভার্সিটি এডুকেশন সোসাইটি কর্ণাটক।

ইউজিসি- র সচিব রজনীশ জৈন বলেন, ১৯৫৬ সালের ইউজিসি গাইডলাইন্স অনুযায়ী একমাত্র সেই বিশ্ববিদ্যালয়ই ডিগ্রি দিতে পারে যারা কেন্দ্র, রাজ্য ও প্রাদেশিক আইন অনুযায়ী গঠিত অথবা এমন সংস্থান যা সংসদে পাশ করে আইনে পরিণত করা হয়েছে। বাকি সব ভুয়াে।