বাংলাদেশে ভেঙে ফেলা হচ্ছে উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর স্মৃতি বিজড়িত দেড়শো বছরের বেশি পুরনো বাড়ি। বাড়িটি ভেঙে ফেলার খবর সংবাদমধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই এক্স হ্যান্ডলে দুঃখ প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে এ নিয়ে বিশেষ আর্জিও জানিয়েছেন তিনি। সমাজমাধ্যমে তিনি লেখেন, এই সংবাদ অত্যন্ত দুঃখের। রায় পরিবার বাংলার সংস্কৃতির অন্যতম ধারক ও বাহক। উপেন্দ্রকিশোর বাংলার নবজাগরণের একজন স্তম্ভ। তাই আমি মনে করি, এই বাড়ি বাংলার সাংস্কৃতিক ইতিহাসের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত।’
তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও বাংলাদেশে ইউনুস সরকারের সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করে বলেছেন, ‘ঐতিহ্যশালী এই বাড়ি মাটিতে মিশিয়ে দেওয়ার অর্থ বাঙালির ঐতিহ্যের উপর আঘাত হানা, বাঙালির আবেগে আঘাত হানা।’ পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশ সরকারকে এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনারও দাবি জানিয়েছেন। বুধবার এক্স হ্যান্ডেলে অভিষেক লিখেছেন, ‘এই ঘটনায় আমি অত্যন্ত মর্মাহত। ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে তাৎপর্যপূর্ণ এই বাড়িটিকে ভেঙে ফেলা আমাদের ঐতিহ্যের উপর আক্রমণের চেয়ে কম কিছু নয়। বাঙালিদের বিবেকের উপর আঘাতও বটে।’ দলনেত্রী মমতার পথে হেঁটেই বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি ভারত সরকারকেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন অভিষেক।
উল্লেখ্য, বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর আর্জিতে নড়েচড়ে বসে নয়াদিল্লি। সংশ্লিষ্ট ঘটনায় ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করে বিবৃতি দেয় ভারত সরকার। ইউনুস সরকারকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়, বাংলা সাহিত্য এবং সংস্কৃতি-বিনোদন জগতের পীঠস্থানকে অযত্ন— ভালোভাবে নেবে না এপার বাংলা তথা ভারত সরকার।