আজ রবিবার থেকে লকডাউন শুরু হচ্ছে। করোনা সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতে এছাড়া কোনও উপায় ছিল না রাজ্য সরকারের।
এই মুহূর্তে রাজ্যে দৈনিক করােনা সংক্রমণ কুড়ি হাজারের কাছাকাছি ঘােরাফেরা করছে। এই পরিস্থিতিতে আরও দুই সপ্তাহের জন্য বেশ কিছু বিধিনিষেধ জারি করল নবান্ন।
জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত দফতরগুলিকে বাদ রেখে সমস্ত সরকারি, বেসরকারি দফতর আগেই বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নবান্ন।
পশ্চিমবঙ্গে করোনা অতিমারির মোকাবেলার জন্য রাজ্য সরকার দু'সপ্তাহের লকডাউনের ঘোষণা করলো।মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় শনিবার নবান্নে লকডাউন কথা ঘোষণা করেন।
দেশের জেলাগুলোর মধ্যে যেখানে সংক্রমণের হার ১০ শতাংশের বেশি, সেখানে ছয় থেকে আট সপ্তাহের লকডাউন জারি করা উচিত। নইলে কোনওভাবে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।
সােমবার মন্ত্রিসভা গঠন ও দফতর বন্টনের দিনেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন, রাজ্যে এখনই সম্পূর্ণ লকডাউন হচ্ছে না। তবে লকডাউনের সমস্ত বিধিই মানতে হবে মানুষকে।
বিদেশি এই সংস্থা কঠোরতায় সূচক হিসাবে দেখে- অফিস, আদালত, স্কুল, কলেজ বন্ধ হয়েছে কিনা? জনসভা বাতিল হয়েছে কিনা? বাড়ির বাইরে মানুষ যাচ্ছে কিনা? গণপরিবহন চলছে কিনা?
কোভিড সংক্রমণের শতকরা পরিসংখ্যান এখনও চিন্তাজনক বলে মন্তব্য করে শহরে আরও একসপ্তাহ লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিল্লি প্রশাসন।
শুক্রবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আগামী ১০ মে ভাের ছ টা থেকে ২৪ মে ভাের ছ টা পর্যন্ত লকডাউন ঘােষণা করেন। করােনা কার্ফু জারি করা হয়েছিল কর্ণাটকে।
সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি নামে এক বেসরকারি সমীক্ষক সংস্থা জানালাে- করােনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় এপ্রিল মাসে কর্মহীন হয়েছে ৭০ লক্ষ ভারতবাসী।