সামনে থেকে করোনা মোকাবিলায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি। শুধু নির্দেশ দিয়েই নিজের দায়িত্ব সারেননি মুখ্যমন্ত্রী। বরং অভিভাবকের ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীকে।
একদিকে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে সহযোগিতার আশ্বাস অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ। বুধবার দ্বৈত ভূমিকায় নামতে দেখা গেল রাজ্য সরকারকে।
এই মুহুর্তে কলকাতা, হাওড়া, দুই চব্বিশ পরগণায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এই জেলাগুলি রেড জোনে রয়েছে। সংক্রমণের খবর আসছে নদীয়া, হুগলি পশ্চিম বর্ধমান থেকেও।
প্রতিবাদ জানাতে বারবার পথে নেমেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা প্রতিরোধের বার্তা দিতে আবারও পথে নামলেন মুখ্যমন্ত্রী।
সোমবার রাত পর্যন্ত গুজরাতে করোনা আক্রান্ত বেড়ে হয়েছে ১৯৩৯। সংক্রমণ ছড়িয়েছে আরাবল্লি-সহ রাজ্যের ২৫ জেলায়। এই আরাবল্লিই হচ্ছে হটস্পট।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের গ্রাফ নাকি নিম্নমুখী হয়েছে সম্প্রতি। সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই দাবি করলেন আমেরিকার নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের গভর্নর অ্যান্ড্রু কুওমো।
রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর চন্দ্রশেখর জানিয়েছে, ৫ মে পরিস্থিতি বিচার করে এ ব্যাপারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। অর্থাৎ ৭ মে যে লকডাউন উঠে যাবে তা স্পষ্ট করেননি তিনি।
কলকাতা সহ বাংলার সাত জেলার করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সোমবার পণ্যবাহী বিমানে রাজ্যে এল কেন্দ্রের আন্তঃমন্ত্রকের দু'টি প্রতিনিধি দল।
রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা গত চব্বিশ ঘন্টায় একলাফে বাড়ল ৫৪ জন, সুস্থ হয়ে ছাড়া পেয়েছেন ৭ জন। সোমবার পর্যন্ত মোট অ্যাক্টিভ করোনা রোগির সংখ্যা ২৪৫, মৃতের সংখ্যা ১২।
শুধুমাত্র একটানা লকডাউন নয় করোনাকে রুখতে হলে মানুষের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে ২০২২ পর্যন্ত, না হলে ভেঙে পড়তে পারে স্বাস্থ্যব্যবস্থা, এমনটাই জানাল হার্ভার্ডের গবেষকরা।