একুশের বিধানসভা নির্বাচন এখনও অনেক দেরি হলেও রাজ্য রাজনীতি কিন্তু নতুন বছরের শুরুতেই সরগরম হতে চলেছে।
সাংগঠনিক দুর্বলতা সেই সঙ্গে এনআরসি বিরােধী প্রচার, এই দুই জোড়া ফলায় কুপােকাত হয়েছে বিজেপি।
কিন্তু উপনির্বাচনে গেরুয়া শিবিরের ভরাডুবিতে কার্যত স্তব্ধ রাজ্য গেরুয়া শিবির। কি থেকে কি হল, তা খুঁজছেন রাজ্য নেতৃত্ব।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘােষের সফর ঘিরে শনিবার দুই ফুল শিবিরের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল সােদপুর।
৪৫ হাজারের ব্যবধান ঘপিয়ে গিয়ে তৃণমূল প্রার্থী প্রদীপ সরকারের ২০ হাজার ৮১১ ভােটে জয় নিঃসন্দেহে মিরাক্যাল। এই মিরাক্যাল যিনি ঘটিয়েছেন তিনি শুভেন্দু অধিকারী।
প্রথম থেকেই তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে হাড্ড হাড্ডি লড়াই চলে। ১০ রাউন্ডের মধ্যে প্রথম ৭ রাউন্ড বিজেপি প্রার্থী কমলচন্দ্র সরকার এগিয়ে ছিলেন।
তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই কালিয়াগঞ্জ এবং খড়গপুর কোনওদিনই তৃণমূলের দখলে ছিল না।
এবারের উপনির্বাচন ছিল তৃণমূলের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। ২১-এ বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকবেন কিনা, এটাই ছিল প্রধান প্রশ্ন।
নির্বাচনে পরাজয় মানে অনেক কিছু হারানাে। শুধু প্রার্থীরাই নয় অনেক হেভিওয়েট নেতার মর্যাদা বাড়া-কমা নির্ভর করছে এই ফলাফলের ওপর।
সকাল থেকেই করিমপুরে ভােটের পারদ ছিল অনেক উঁচুতে। ৯৭ শতাংশ বুথে নজরদারিতে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। তবু বহু স্থানে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে ছিল অশান্তির আবহাওয়া।